নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: দীর্ঘ ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সংযোগ জোরদারে অভিন্ন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দুই দেশ। ঢাকায় আয়োজিত বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।
বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার নানা খাত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরু এবং আকাশপথে পুনরায় সরাসরি যোগাযোগ চালুর বিষয়ে দুই পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করে। পাশাপাশি ভ্রমণ ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণে সাম্প্রতিক অগ্রগতিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। উভয় দেশ দ্রুত চুক্তিসমূহ চূড়ান্তকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ নিয়মিতকরণ এবং কৃষি, শিক্ষা ও বাণিজ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়।
পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সুযোগের প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি প্রদানের প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা জানায় এবং শিক্ষা খাতে আরও গভীরতর সম্পর্কের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে।
বৈঠকে ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্ভাব্য সমঝোতা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় দেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে সার্ককে পুনরায় সক্রিয় করার পক্ষে মত দেয়। এ ছাড়া গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বেগ জানানো হয় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা স্বাধীনতাপূর্ব অভিন্ন সম্পদের জন্য বকেয়া অর্থ দাবির’ মতো বিষয় ফলাও করে প্রচার করা হলেও এসব ইস্যুতে একটি শব্দও ব্যয় করেনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply