নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: জাতীয় পার্টির কাউন্সিল নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে চেয়ারম্যান জিএম কাদির বলেছেন, আমরা যাতে কাউন্সিল করতে না পারি তা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা হল ভাড়া করতে গেলে কেউ আমাদের হল ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে শনিবার সকালে বর্ধিত সভার প্রথম দিনের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদির বলেন, আমাদের প্রতীক লাঙল কেড়ে নেওয়া, আমাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার বিরাট ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। মাঠে থাকতে হবে, যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া যাবে না। আমরা মাঠে থাকব। যুদ্ধ করবো। আজ শনিবার বর্ধিত সভা করছে দলটি। রবিবারও বর্ধিতসভা এই সভা হবে।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জিএম কাদের বলেন দেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে এখনই দাড়ানোর সময়। কোনোরকম ভয়-ভীতি, শঙ্কিত হবেন না। আপনারা যদি জনগণের কথা বলেন, জনগণ আপনাদের সমর্থন দেবে।
বর্ধিতসভায় বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। মানুষের জান-মাল এবং ইজ্জতের কোনো নিরাপত্তা নেই। আপনি আজকে কোথাও যাচ্ছেন, কেউ আপনাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে না, গুলি করে মেরে ফেলবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা কোথাও নেই। এখন দেশে একটা কঠিন সময় পার করছি আমরা। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ হতাশ এবং আতঙ্কগ্রস্ত; এটাই হল বাস্তবতা।
জিএম কাদের বলেন, “একটা কথা আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আর কোনো সুবিধাভোগী, সুবিধাবাদী রাজনীতি জাতীয় পার্টি আমার নেতৃত্বে কখনো আর করবে না। কেউ যদি করতে চান, তাদেরকে দলে স্থান দেওয়া হবে না।”
২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে জাতীয় পার্টি মোট চারটি নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তারাও চাপে আছে।
জাতীয় পার্টি সুবিধাবাদী দল নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সুবিধাভোগী, সুবিধাবাদী নই। আমাদের জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিল। সবসময় জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে এবং সবসময় জনগণের সঙ্গে তারা থাকবে।” শনিবার বর্ধিত সভার প্রথম দিনে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এসময় দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও উপস্থিত ছিলেন।
বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্নভাবে নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত। স্বাভাবিকভাবে তাদের যে অধিকার, তারা সেটা ভোগ করতে পারছেন না এবং এ বিষয়ে তারা কোনো বিচারও কারো কাছে তারা দিতে পারছেন না। দেশে মানুষের মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, যে কেউ আপনার বাড়িঘর এবং ব্যবসাকেন্দ্র হঠাৎ করে এসে সরাসরি আক্রমণ করবে না, লুটতরাজ করবে না, এটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আপনাকে যেকোনো জায়গায় অপমানিত করার জন্য যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার পরিবার নিয়ে আপনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন, তার নিশ্চয়তা আজ বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে নেই।”
Leave a Reply