1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম শুধু হৃদয় ভাঙা নই, আমি ক্ষুব্ধ, লজ্জিত: বাঁধন সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন পশ্চিম তীরে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জাপানের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিদেশিদের স্বার্থে কাজ করছেন: রিজভী পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন ভিপি নুর: ডিএনসিসি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই

পুঁজিবাজারে আস্থা সংকটে বিনিয়োগকারীরা, বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: গত ৫ই আগস্টের পর পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পরিবর্তনের আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু গত দুই মাস ধরে টানা দরপতনে সেই আশার জায়গায় সরকারের উদাসীনতায় এবং শিল্প ও ব্যবসা বিরোধী অবস্থানের কারণে তারা এখন আছে গভীর হতাশা। বাজারের অব্যাহত পতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের একাংশ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে পতনের পেছনে প্রধান কারণ আস্থার ঘাটতি। এর পাশাপাশি ব্যাংকে উচ্চ সুদের হার, মার্জিন ঋণের বিপরীতে ফোর্সড সেল, বিএসইসির অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং সরকারের উদাসীনতা ও শিল্পপতিদের প্রতি খড়গহস্থ বিনিয়োগকারীদের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করছে।

গত দুই মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৮০০ পয়েন্ট কমে এসেছে ৫৭৭৫.৪৯ পয়েন্ট থেকে ৪৯৭২.৫৯ পয়েন্টে। সর্বশেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারেও সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট, টানা ৯ কার্যদিবসে পতন হয়েছে মোট ২৩৩ পয়েন্ট।

লেনদেনেও বড় ধস দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় মাত্র ৩৬৭ কোটি টাকার, এক সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ২৫.৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৮৫২৪ পয়েন্টে।

বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সরকারের বিভিন্ন খাতে সংস্কার কাজ শুরু হলেও পুঁজিবাজার এখনো তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখেনি। বরং আস্থার সংকট আরও বেড়েছে। বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আস্থা না থাকায় তারা বারবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নিচ্ছেন।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, “স্বল্পমেয়াদি সরকারের সময় বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় থাকেন। এই অনিশ্চয়তা দূর না হলে বিনিয়োগ আসবে না, আর বিনিয়োগ না এলে বাজারও চাঙ্গা হবে না।”

ডিএসই পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, “ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও বন্ডে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এতে শেয়ারবাজারে চাপ বেড়েছে। ব্যাংকের শেয়ার দর কমে যাওয়া এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির বড় অংশ ব্যাংক খাতের হওয়ায় পুরো বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”

অন্যদিকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, মূল্যস্ফীতি কমছে, ডলার স্থিতিশীল—তবুও বিনিয়োগ বাড়ছে না। ট্রেজারি বন্ডে উচ্চ সুদ বাজার থেকে বিনিয়োগ টেনে নিচ্ছে, আর মার্জিন ঋণ নিয়ে যারা বিনিয়োগ করেছেন তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”

ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রচণ্ড আস্থাহীনতা বাজারের মূল সমস্যা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী তৈরির ক্ষেত্রেও ব্যর্থতা আছে। এনবিএফআই ও ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগই দুর্বল অবস্থায় আছে।”

এদিকে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, “আমরা বাজারে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করছি। নেগেটিভ ইকুইটি সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোসহ বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি, দীর্ঘমেয়াদে এসব উদ্যোগ বাজারকে স্থিতিশীল করবে।”

তবে বাজারসংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি। না হলে বাজারের আস্থার সংকট কাটবে না এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি অব্যাহত থাকবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest