নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দেশে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ জন শিশুকন্যাসহ মোট ১৬৩ জন নারী। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৬ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে দুই কন্যাকে এবং ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে আরও দুইজন কন্যাশিশু।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া বেগম শান্তি লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
রাবেয়া বেগম শান্তি বলেন, বর্তমানে নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ, ভাষা এবং হেনস্তা বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নারীর প্রতি ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা নারীর চলাফেরাকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
তিনি আরও বলেন, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার মাত্রা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এবং কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে এই সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ১৮ বছরের নিচে কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার দ্রুত বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আবরার ফাহাদ হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে যাওয়া, শিশু ধর্ষণের মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তি পাওয়া এবং সারাদেশে অপহরণ, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের অবমাননা এবং রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের আন্দোলনকে নারীবিদ্বেষী অপসংস্কৃতির অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। নারী সমাজের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় নারীর জন্য ৬০% কোটা পুনর্বহাল রাখারও জোর দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply