নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে গত দেড় বছরে নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এতে বাংলাদেশে মোট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশ স্ক্যানের মাধ্যমে নিবন্ধনের অনুমতি এখনো দেয়নি সরকার।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে চিঠি দিয়েছে। তবে আরআরআরসি কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “এত বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য নতুন ঘর তৈরির জায়গা নেই।”
সূত্র জানায়, সীমান্তে সতর্কতা সত্ত্বেও প্রতিদিনই রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গত সপ্তাহেই এসেছে ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবারসহ আরও ৫ হাজার ৯৩০ জন। বর্তমানে নতুন আসা রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের ২০টি ক্যাম্পে আত্মীয়স্বজনের আশ্রয়ে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি লোক রয়েছে ক্যাম্প ২৭, ২৬, ২৪ ও ৯ নম্বর ক্যাম্পে।
নতুন রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৩.৭৭ শতাংশ নারী এবং বাকিরা পুরুষ। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু এবং বয়স্কও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে থেকেই বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অচল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও ক্রমশ কমছে। এখন নতুন রোহিঙ্গাদের প্রবেশ বাংলাদেশের মানবিক ও অর্থনৈতিক চাপে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকরা আরও সতর্ক করে বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করলে রাখাইনে থাকা আরও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে উৎসাহিত করতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করা এবং মিয়ানমারের সঙ্গে কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগের ওপর এখন জোর দিতে হবে।
Leave a Reply