নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যম বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৮ এপ্রিল থেকে নিয়মিত পাঠদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দেশজুড়ে এখনও বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় গুঞ্জন উঠেছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আরেক দফা বাড়তে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, শিখন ঘাটতি মেটাতে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালু হতে পারে।
এদিকে, বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতেশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি-না সেই বিষয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপ-ডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা বলেছে, যে তাপমাত্রাটা বাড়তে পারে। কিন্তু আমাদের মন্ত্রী মহোদয় তো বিদেশে আছেন। উনি কালকেই (শুক্রবার) বোধহয় ফিরবেন, তিনি ফেরার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”
তিনি আরও বলেন, “তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। যদি স্কুল খোলা রাখা হয় তবে শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা কাজ করছেন কিনা- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে তো সামনের যেটা আছে সেটা শেষ করে নিই।”
বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না, সে বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অনলাইন তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।”
এর আগে, রমজান মাস, স্বাধীনতা দিবস, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি সমন্বয় করে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২১ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পাঠদান শুরুর কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০ এপ্রিল এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply