1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
সংস্কারের নামে দেশে সার্কাস চলছে, বললেন জি এম কাদের ‘মব ভায়োলেন্স কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’ পারস্পরিক শুল্ক, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা অর্ডার স্থগিত শুরু করেছেন ইন্টারনেট গতিতে বিশ্ব রেকর্ড জাপানের ব্যয় বৃদ্ধিতে সাড়ে পাঁচ শ টেক্সটাইল কারখানা বন্ধ এনসিপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যুগ্ম আহ্বায়কের ‘বাতিঘর’এর বর্ষপূর্তি, জুলাই সন্ত্রাসের ডালপালা ও নিউইয়র্ক কানেকশন ! ফকির ইলিয়াস বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে বাংলাদেশিদের ভোগান্তি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

ভালো থাকুক পৃথিবীর সব মা

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১২ মে, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: ‘মা’ অতি ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর গুরুত্ব এবং মর্যাদা কতটুকু তা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন দয়ালু এবং মর্যাদাবান মানুষটিকে কখনো কি আমরা সবাই সঠিকভাবে মর্যাদা দিই? যে মানুষটি আমাদের ১০ মাস ১০ দিন সহস্র যন্ত্রণা সহ্য করে তার গর্ভে রেখেছে এবং প্রবল ব্যথা উপেক্ষা করে প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের এনেছে, আমরা সেই মানুষটিকে কতটা সম্মান দিই? তা ছাড়া সব ভালোবাসা এই এক দিনে কেন? মা দিবসে মাকে লোকদেখানো ভালোবাসবেন, বাকি ৩৬৪ দিন মাকে অসম্মান করবেন, এমন লোকদেখানো ভালোবাসার প্রয়োজন নেই।

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসাটা আসতে হয় হৃদয় থেকে। এই ভালোবাসার জন্য কোনো অভিনয় করার দরকার পড়ে না, কোনো নাটক করার প্রয়োজন পড়ে না। আর মায়েরা সব বোঝেন, কোনটা আপনার ভালোবাসা আর কোনটা আপনার অভিনয়।

আচ্ছা মাকে ভালোবাসতে কী লাগে? অনেকেই হয়তো মাকে হাত-ভর্তি টাকা দিচ্ছেন কিংবা ভালো ভালো খাবার খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু মা কী চান সেটা কি বুঝতে চেয়েছি? আমরা কী কখনো চিন্তা করে দেখেছি মা আমাদের জন্য কী করে বা মূলত আমাদের কী দেন। কজন মা তার সন্তানকে ভালো খাবার কিংবা প্রচুর টাকা দিচ্ছেন। কজন মা তার সন্তানকে দামি গাড়িতে করে দামি শপিং মলে নিয়ে যাচ্ছেন। সব মায়ই এসব তাদের সন্তানদের দিতে পারেন না। কিন্তু মায়ের ভালোবাসার কাছে সব দামি উপহার মামুলি এবং তুচ্ছ। কারণ মায়েরা যা দেন তা পৃথিবীর কেউ কখনোই তা দিতে পারবেন না। আমরা শপিং মলের দামি কাপড়টি কিংবা রেস্টুরেন্টের দামি খাবারটি পরে আবার পাব। কিন্তু মায়ের ভালোবাসা সেটা প্রতিবারই অমূল্য।

যাই হোক, মূল কথায় আসি, প্রতিটি সন্তান-ই জানে মা আমাদের জন্য কতটা কষ্ট করে এবং কতটা ভালোবাসে। কিন্তু আমরা আমাদের মাকে কতটা ভালোবাসছি কিংবা ভালোবাসা দিচ্ছি। আবার এই সমাজে এমনও কিছু সন্তান আছে যারা মাকে ভালোবাসতে পারে না আবার কষ্ট দিতে জানে।

সত্যি বলতে, এখন মায়ের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসা বেড়েছে, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা কমেছে। ‘মা দিবস’ আসলে লাফিয়ে লাফিয়ে বলি, মা আমি তোমাকে ভালোবাসি। ফেসবুকে মায়ের জন্য ভালোবাসার গল্প লিখে ভাসিয়ে ফেলি। কিন্তু বাস্তবে আমরা কি করি সেটা আমাদের চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আমরা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে বড় বড় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি মা তখন কি খাচ্ছেন, কার সঙ্গে খাচ্ছেন, কীভাবে খাচ্ছেন।

আমরা অসুস্থ হলে মা আমাদের জন্য পারে না জীবনটা দিয়ে দিতে। তখন মা আমাদের জন্য কী করে কিংবা কেমন করে সেটা আমরা ভালোভাবেই জানি। কখনো খেলায় কিংবা অন্য কোথাও আহত হলে মায়ের অবস্থা কেমন হয়, সেটাও আমরা নিজেরাই দেখেছি। কিন্তু আমরা মায়ের অসুস্থতার সময় কী করেছি? কখনো জানতে চেষ্টা করেছি ‘মা তুমি কেমন আছো?’। কখনো কি জানতে চেষ্টা করেছি ‘মা তোমার শরীর ভালো আছে?’। মায়েরা শরীরে অসুস্থতা নিয়েও রান্না করে যান আমাদের পছন্দের এবং প্রিয় খাবারটি। ঘরের সব কাজ নিশ্চুপে করে যান। বুঝতে দেন না কষ্ট হচ্ছে কিংবা আর পারছেন না।

আমরা যখন বুঝতে শিখি কিংবা একটু বড় হয়ে যাই, তখন আর মাকে মূল্যই দিই না। মায়ের সঙ্গে পরামর্শ কিংবা কোনো ধরনের কথা শেয়ারও করি না। একটা সময় নিজেরা মায়ের ভুল ধরতে শুরু করি। মাকে ধমক দিতে শুরু করি। আমরা বাবাকে যেমন-তেমন মান্য করলেও মাকে কখনোই মান্য করি না (অনেকেই করেন)। মা আমাদের কিছু বারণ করলেও আমরা সেটা তেমন তোয়াক্কা করি না। অথচ মায়ের সেই আদেশ, উপদেশ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্র্ণ ছিল সেটা পরবর্তী সময়ে ঠিকই টের পাই।

আমাদের সমাজে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা আজ মাকে ভালোবাসতে চাইলেও পারছে না। কারণ আজ তাদের মা নেই। যখন ছিল তখন হয়তো সেই সুযোগটি পাইনি। আজ সময় এসেছে কিন্তু মা নেই। কিন্তু যাদের আছে তারা মাকে কতটুকু সম্মান, ভালোবাসা দিচ্ছি। সমাজে এমনও কিছু সন্তান রয়েছে যারা তার জন্মদাত্রী মায়ের শরীরে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না। হয়তো ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে এই সম্মানটুকু দিচ্ছে মাকে। আমার কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে না পারলেও অসম্মান কেন করব?

শারীরিক কিংবা মানসিক সবভাবেই মাকে আমরা অনেকেই এখন আঘাত করে থাকি। এটাই কি প্রসব ব্যথা সহ্য করে আপনাকে-আমাকে জন্ম দেওয়ার পুরস্কার? শিশুকালে আমাদের লালনপালন করার পুরস্কার? নিজে না খেয়ে আমাদের খাওয়ানোর পুরস্কার?

এত কিছুর পরও সন্তানের জন্য মায়ের মনে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। আমরা অপরাধ করলে মা সব সময় আমাদের ক্ষমা করে দেন। মা শুধু চান আমরা যেন ভালো থাকি এবং সুন্দর থাকি। মা যদি না ফেরার দেশেও চলে যান সন্তানের মঙ্গল কামনা সেখান থেকেও করবেন। কারণ তিনি তো ‘মা’। সত্যি বলতে, আমরা যতটাই বড় হচ্ছি, ততটাই মায়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। এমনও সন্তান রয়েছে যাদের মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে রাত কাটান। এর চেয়ে লজ্জা ও অপমানের আর কী আছে?

আসুন মাকে লোকদেখানো ভালো না বেসে প্রতিদিন মাকে ভালোবাসি। মাকে অন্তত তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই। অবহেলা আর অযত্নে যেন কোনো মা দিন না কাটান সেদিকে নজর রাখি। নিজের মায়ের পাশাপাশি, অসহায় মায়েদেরও খোঁজ রাখি। বৃদ্ধাশ্রমে যেন কোনো মাকে রাত কাটাতে না হয়, সে প্রত্যাশা রাখি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest