আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করে তেহরান। কিন্তু ইরানের এই অনুরোধে সাড়া না দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২০ মে) ওয়াশিংটন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একমাত্র প্রতিপক্ষ ইরানের কাছ থেকে এ ধরনের অনুরোধ ছিল এক ধরনের অপ্রত্যাশিত। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ইরান সরকার আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের বিভিন্ন কারণে সেই সহযোগিতা প্রদান না করার কথা জানিয়েছি।
রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ ৬ জন যাত্রী ও ক্রুসহ একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর সোমবার (২০ মে) সকালে এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
রাইসির মৃত্যু নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো শব্দ করেনি। তবে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ছিল। বেল ২১২ মডেলেও ওই হেলিকপ্টারটি আজারবাইজান সীমান্তে বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তেহেরান ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই।
তিনি আরও বলেন, কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে তা আমাদের ধারণাতে নেই।
এদিকে রাইসির মৃত্যুর পর সংবিধান অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন এবং তিনিই আগামী ৫০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচনের আয়োজন করবেন।
Leave a Reply