নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: এবারের নির্বাচনে চুনারুঘাটের রাজনীতির ময়দানে ঘোড়ার দৌড় অপ্রতিরোধ্য। তৃণমূলের রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ, জননন্দিত, সর্বসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত, তিনবারের নির্বাচিত চুনারুঘাট সদর ইউপির চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসানের ভাগ্য এবার সুপ্রসন্ন বলা যেতে পারে। আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ বলছে, আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় ঘোড়ার অবস্থান দিনে দিনে অধিকতর শক্তিশালী হচ্ছে। ইতিপূর্বের উপজেলা নির্বাচনেও সৈয়দ লিয়াকত হাসান পপুলার ভোট পেয়ে নিজের শক্ত অবস্থানকে প্রমাণে সমর্থ হয়েছেন। ব্যক্তি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত , সজ্জনরূপে সকলের শ্রদ্ধা কুড়াতে পেরেছেন। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার ভোট পাবার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। উঠতি ভোটার এবং সুইং ভোটারদেরও ভোট তিনি পাবেন বলে আমরা মনে করছি।
একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ লিয়াকত হাসানকে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করতে সকল মা বোন, ভাই, বাবা, চাচা ও আবাল বৃদ্ধভণিতাদের প্রতি আহবান জানাই। তিনি বিরুদ্ধস্রোতের যাত্রী হিসেবে ন্যায়নিষ্ঠ। অনেকেই জনপ্রতিনিধিত্ব করে বিপুল সম্পদ অর্জন করলেও তিনি হয়েছেন সম্পদবিহীন। তার সম্পদ অর্জনের নেশা কখনোই ছিলো না। সম্পদের প্রতি যিনি লালায়িত নন তার দ্বারা জনগণের আমানত, অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হতে পারে না।
তার সাথে আমাদের অনেকেরই দলমতের অনৈক্য থাকতে পারে কিন্তু ন্যায়ের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল তাদের প্রথম পছন্দের প্রতীক নিশ্চই ঘোড়া। মনে রাখুন সাধারণ মানুষের বল ভরসার আশ্রয়স্থল হিসেবে সৈয়দ লিয়াকত হাসানকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করলে সঠিক কাজটিই সম্পাদন করেছেন বলে ধরে নিন।
৫ তারিখে লাখোকণ্ঠের আওয়াজ তুলুন, ঘোড়াকে জয়যুক্ত করুন। মনে রাখুন দল নয়, দেশ ও দেশের স্বার্থ আগে।
সকল ষড়যন্ত্র ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রতিহত করতে ৪ তারিখ বাদ জোহর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও স্বদ্যোগী হয়ে পাহারার ব্যবস্থাকে জোরদার করুন। ইলেকশনে র্যাগিং ঠেকাতে কন্ট্রোল রুমে শক্তশালী নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক এবং মিডিয়া টীমকে শক্তিশালী নজরদারী বাড়াতে উদ্বুদ্ধক্রমে উদ্যোগ নিন। মনে রাখবেন, কলসিতে যতোই পানি ভরুন এতে যদি কানা থাকে তাহলে সকলই মিছে। সুতরাং সমস্ত ছদ্র বন্ধ করুন।
মুর্যাল হেজার্ডাসকে জিরো টলারেন্স বিবেচনা করুন। ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করুন। ভোটের আগের রাতে কালো টাকার ছড়াছড়িতে জনমত প্রভাবিত করার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা যে চলমান সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে? তার এসব প্রতিরোধে ঘরে ঘরে দূর্গ করার প্রয়োজনীতাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। আমরা নিশ্চই মনে রেখেছি, এ লড়াই শুধু সৈয়দ লিয়াকত হাসানের একার নয়, এ লড়াই চুনারুঘাটের মুক্তিকামী জনগণের। এ লড়াই বাতিলের বিরুদ্ধে হকের লড়াইয়ের বিজয় নিশান স্বরূপ।
ওই দেখো চে’ গুয়েভারার বিপ্লবের মন্ত্রে উজ্জীবিত লিয়াকত হাসান
বাজুক দামামা, উড়ছে, উড়ুক বিজয় নিডান
আর যা বলে, বলুক অন্যলোক
ভূমিপুত্র তুমি এ মাটির, তুমি আমাদেরই লোক
Leave a Reply