1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম শুধু হৃদয় ভাঙা নই, আমি ক্ষুব্ধ, লজ্জিত: বাঁধন সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন পশ্চিম তীরে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জাপানের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিদেশিদের স্বার্থে কাজ করছেন: রিজভী পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন ভিপি নুর: ডিএনসিসি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই

আপার আশে পাশে দেখি হাজারো মোশতাক-অমি রহমান পিয়াল

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

অমি রহমান পিয়াল
লেখক: ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট

না, ফুলের তোড়া নিয়ে শুধু অভিনন্দন জানাইতে আসি নাই। কিছু কষ্ট, কিছু হতাশা, কিছু আক্ষেপ আর কিছু আশংকার কথাও বলবো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ ৭৫ বছরে পা দিলো! এই মানচিত্রের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, নানা সংগ্রামে লড়াইয়ে সবার আগে থাকা, মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ। হ্যা, সিনা টান কইরা বলি, বুক ফুলায়া বলি আমি আওয়ামী লীগ করি। এই ঐতিহ্যের অংশ আমি, এই লিগেসিতে আমারও রক্ত, ঘাম, শ্রম আছে। কিন্তু আবার এইটাও মনে হয়, এই আওয়ামী লীগরে আমার কেনো যেন অচেনা লাগে! আমি কি জানি মিস করলাম!!

’৮১ সালের ১৭ মে আপা যখন বিমান থেকে নামলেন, ছয় বছরের নির্বাসন শেষ হলো তার। চারদিকে মানুষের ঢল- হাসিনা তোমার ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই! সেদিন আকাশভাঙা বৃষ্টি বরণ করে নিছিলো আপাকে। তার চোখের জল, তাকে ভালোবাসা মানুষের চোখের জল এক করে দিয়েছিলো বৃষ্টির জল! এমন তুমুল বৃষ্টিতে মানুষের ঢল আরেকবার ভাসিয়েছিলো রাজনীতির গতিপথকে। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন, ছয় দফা দিবসে। পল্টনে ভিড় করে বৃষ্টিভেজা বাঙালী শুনতে এসেছিলো স্বাধীকারের প্রথম ইশতেহার। আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুকে বাংলার মানুষ আপন করে বুকে টেনে নিয়েছিলো সেদিন।

আর ১৭মে শেখের বেটিকে যে কোনো মূল্যে রক্ষার রক্তশপথ নিয়েছিলো উপস্থিতরা। সেখানে আমার মতো কিশোররাও ছিলো! স্কুল পালানো কিশোর, কলেজ পড়ুয়া তরুণ, অফিস ফাঁকি দেওয়া যুবকরা ছিলো, একদিন ভাত না খাইলে কিছু হবে না বলে নিজেরে প্রবোধ দেওয়া দিনমজুররা ছিলো। ছয়টা বছর কান্না আর আর্তনাদ বুকে চেপে রাখা প্রবীনরাও ছিলো। এই জনতা সেদিন থেকে ২০০৮পর্যন্ত আপার সঙ্গে হেটেছে। ৮৮র জানুয়ারিতে গুলি খেয়েছে, ২০০৪ সালে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়েছে। তখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এই তেড়িয়া পার্টিজানদের আমি অনেককেই কাছ থেকে চিনি। ২০০৯এর পর দেখি তারা অদৃশ্য। তারা কোথাও নেই। গায়েব। খুব লাজলজ্জাহীন কিছু পার্টি অফিসের থেকে একটু দূরে চায়ের দোকানে চা খায় আর আওয়ামী লীগের রমরমা দেখে। খুশী হয় নাকি গোপন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আমি জানি না।

জুনের লিগেসি বঙ্গবন্ধুকে সবার উপরে নিয়ে গিয়েছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হলো তার নামে। ৮১তে আওয়ামী লীগের ফিনিক্স পাখীর মতো নতুন করে জন্ম হলো শেখ হাসিনার হাত ধরে। সে ধারা অব্যহত আছে। কিন্তু তার আশে পাশে কি ঠিক মানুষরা আছে? তাহলে মাননীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ কাউয়ায় ভরে গেছে বলে আক্ষেপ করলেন ক্যানো! মুজিব কোট যেদিন রঙ্গীন হয়ে গেলো, সেদিন থেকে দল কর্পোরেট মোডে চলে গেলো। রাজনীতির জায়গা নিলো বিজনেস ডিল। দলতো আপা দেখেন না, কমিটি তো উনি দেন না। তাহলে কাদের ভাইর ভাষায়- এরা কারা? কোথা থেকে এলো?

রাজপথে জীবন বিপন্ন করে লড়া সেই লীগাররা কই হারালো? হারায় নাই, প্রয়োজনে বৃদ্ধ বয়সেও তারা আবার রাস্তায় নামবে। তারা অবহেলিত শুধু না অপমানিতও। তারা ভোটের হিসাব বুঝে না, তারা চিনে বঙ্গবন্ধু আর শেখের বেটিকে। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই দেখি আওয়ামী লীগে ভালো পজিশনে আছে। ৭৫এর খুনীদের সন্তানরাও দেখি দলে পুনর্বাসিত হয়ে পোস্ট পদবী ধারণ করে আছে। যেই শিবিরের যেই যুবকমান্ডের তান্ডবের বিরুদ্ধে লড়াই করে ঘরছাড়া ছিলো ছাত্রলীগ, তারাই এই সরকারের আমলে ভালো চাকরী করে, ভালো ব্যবসা করে, সরকারের ঠিকাদারী পায়। ইফ ক্যান্ট বিট দেম, জয়েন দেম- মন্ত্র পড়ে তারা ঢুকে পড়েছে দলে। ঘুনপোকার মতো কুড়ে খাচ্ছে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব!

হ্যা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব আজ সংকটে। আওয়ামী মানে জনতা, আওয়ামী লীগ জনতার দল। সেই জনতার কাছে দলকে ভয়ংকর বানিয়ে দিচ্ছে কারা? কারা এসব লুটেরাদের ডেকে এনে নেতা বানাচ্ছে? কারা লুটছে আজ দেশটাকে? তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কি? তাদের চৌদ্দগুষ্টিতে কয়জন আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু পাইছিলেন একটা মোশতাক। আপার আশেপাশে আমি দেখি হাজারো মোশতাক। দেশকে তারা ধীরে ধীরে ৭৪-৭৫ আমলের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাইতেছে। তাদের টার্গেট জনবিচ্ছিন্ন করা দলকে। সাবেক পুলিশপ্রধান ও সেনাপ্রধান আওয়ামী লীগের রেজ্যুমিতে ভালো কিছু যোগ করেন নাই। দুইদিন পরপর একটা ইভ্যালি, একটা শাহেদ জন্ম নিতেছে, জন্ম নিতেছে জিকে শামীমের মতো লোকজন- তাগো পিছনে আছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্যরাই!

এইসব বিপদ সংকেত আমলে নেন আপা! সংগ্রামীদের মূল্যায়ন করতে বলেন প্লিজ। বর্জন করতে বলেন দুষ্টরক্তদের। এটুকু লিখতেই অনেক কষ্ট হলো। ফিরে এলো ১৭ মে। আপনার সেই মুখটা স্মরণ করে মায়া হয়, বুকটা খামচে ধরে আক্ষেপ। চোখ ভরে যায় জলে আপা, কিন্তু বৃষ্টি নেই বলে ঢাকতে পারি না…
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় শেখ হাসিনা
জয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ…

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest