নিউজ ডেস্ক জাপান: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
টোকিওর ইকুবুকূরো নিশিগুচি পার্কের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগ জাপান শাখার নেতারা বলেন,
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রায় সব ভাস্কর্য, ম্যুরাল আক্রান্ত হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তার বাসভবনে স্থাপন করা স্মৃতি জাদুঘরও। আগুন দেওয়া হয় শহীদ বেদীতেও। সেই পুড়িয়ে দেওয়া ভবনকে ঘিরে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসে টোকিওর ইকুবুকূরো নিশিগুচি পার্কের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান, দোয়া মাহফিল ও শোক মিছিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। নেতৃবৃন্দ এই কঠিন সময়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ১৫ অগাস্টের ছুটি বাতিল করে। পরে ২০০৮ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে উচ্চ আদালতের আদেশে ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের পাশাপাশি ঘোষণা হয় সরকারি ছুটিও।
পাশাপাশি আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে দিনটিতে।
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকেই ১৫ অগাস্টের জাতীয় শোক দিবসের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়।
সেদিনই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ১৫ অগাস্ট পালন করার আহ্বান জানান।
ভারতে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ফেইসবুক পেজে এই বিবৃতি পোস্ট করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মোনাজাত করে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করুন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল করুন।”
Leave a Reply