নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: রংপুরের পীরগাছায় তীব্র লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কদিন আগেও এই উপজেলায় বিদ্যুৎসেবা অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে এলাকাভেদে গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছেন, চাহিদার অর্ধেক বরাদ্দ পাওয়ায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।
পশ্চিমদেবু গ্রামের সৌরভ আহমেদ বলেন, রাতের বেলা গড়ে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। বাচ্চাদের পড়াশোনা ও ঘুমের মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়াও ভোল্টেজ কম থাকায় ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।
এসএসসি পরীক্ষার্থী রিফাজ রায়হান বলেন, কদিন ধরে পড়তে বসলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনাটাও করতে পারছি না।
অনন্তরাম গ্রামের গৃহিণী জুঁই বেগম বলেন, ৩-৪ দিন ধরে রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। বিশেষ করে শিশুরা খুব কষ্ট পাচ্ছে।
দোয়ানি মনিরাম গ্রামের মেজবাহুর রহমান বলেন, এত লোডশেডিং হচ্ছে তারপরও মাস শেষে বিল তো কম আসে না। ইদানীং বিল আরও বেশি আসছে। বিল নেওয়ার সময় বিল তো কম নেওয়া হয় না। তাহলে আমরা ঠিকঠাক সেবা পাব না কেন?
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. নুরুজ্জামান বলেন, গত ২ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত অফিস, শিল্পকারখানা প্রায় বন্ধ ও আবহাওয়া একটু ঠান্ডা থাকায় এই অফিসের আওতায় পিক ডিমান্ড ১৫ মেগাওয়াট কম ছিল। ১২ তারিখ থেকে অফিস, শিল্পকারখানা চালু ও গরম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পিক ডিমান্ড প্রায় ২০ মেগাওয়াট। এখন আমরা চাহিদার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জাতীয় গ্রিড থেকে বরাদ্দ পাচ্ছি। তাই লোডশেডিংয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে না। পিডিবির কাছ থেকে কিনে গ্রাহকদের বিতরণ করে মাত্র। উৎপাদন বৃদ্ধি করা সরকারি উঁচুপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু ওই পর্যায়ে কথা বলা আমি তো দূরের কথা আমার জিএম মহোদয়েরও সুযোগ নেই। তাই আমরা নিরুপায়। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
Leave a Reply