1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :

সরকারের পতন মানতেই পারছেন না পলক

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: গ্রেপ্তারের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ভিআইপি আসামিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তিনি।

এত দ্রুত সরকারের পতন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। যদিও একদিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, চাইলে তিনিও দেশ ছেড়ে পালাতে পারতেন। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘বেঈমানি করা হবে’ বলে তিনি যাননি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনের চাপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার একটি কক্ষে আত্মগোপনে ছিলেন পলক।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিন (৬ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত পলক ওই এলাকাতেই ছিলেন। এরপর তিনি বিশেষ উপায় অবলম্বন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর থেকেই বেশিরভাগ সময় কান্নাকাটি করছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ইন্টারনেট শাটডাউনের বিষয়েও তিনি তার দায় অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, প্রতিমন্ত্রী হলেও ইন্টারনেট বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার একক কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পলক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। প্রশ্ন করলেই মাথা নিচু করে কাঁদছেন, কেঁপে উঠে কুঁকড়ে যাচ্ছেন। এমনকি ৬ বছর ধরে চালানো নিজের মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজের দায়-দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করে যাচ্ছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে পলক জানিয়েছেন, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ও এনটিএমসির মহাপরিচালক সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের নির্দেশনা মেনে তিনি ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এছাড়া ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সায় ছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া (৩৯)। ওই ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। ওই মামলায় গত ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest