নিউজ ডেস্ক, জাপান: জাপানের প্রধান ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি’র সাবেক মহাসচিব ইশিবা শিগেরু দলের সভাপতি নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পশ্চিম জাপানের তত্তোরি জেলার ইয়াযু শহরের একটি মন্দিরে শনিবার তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এবার নিয়ে পঞ্চমবার দলীয় সভাপতি নির্বাচনে ইশিবা অংশ নিচ্ছেন।
সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী কোবাইয়াশি তাকাইউকির পর ইশিবা হলেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর উত্তরসূরি বেছে নেয়ার প্রতিযোগিতায় প্রার্থীতা ঘোষণা করা দ্বিতীয় ব্যক্তি।
ইশিবা বলেন যে নিজের সমস্ত শক্তি ও হৃদয় দিয়ে তিনি সমর্থন চাইবেন। তিনি উল্লেখ করেন এবারের প্রতিযোগিতাকে নিজের ৩৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনের চূড়ান্ত ও শেষ প্রতিযোগিতা হিসাবে তিনি দেখছেন। তিনি বলেন নিজের মূল আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তিনি করবেন।
বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা আগামী সপ্তাহে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিজিটাল রূপান্তর মন্ত্রী কোওনো তারোও সোমবার এবং প্রাক্তন পরিবেশ মন্ত্রী কোইযুমি শিনজিরো শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করবেন।
চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি হায়াশি ইয়োশিমাসা, এগিয়ে আসা তাইফুন পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে তার প্রার্থীতা ঘোষণার পরিকল্পনা করছেন।
দলের বর্তমান মহাসচিব মোতেগি তোশিমিতসু অতীতের মোতেগি উপদলের সদস্যদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কবে সেই ঘোষণা তিনি দেবেন, তা এখন তিনি বিবেচনা করে দেখছেন।
অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মন্ত্রী তাকাইচি সানায়ে প্রার্থীতা ঘোষণা করার সঠিক সময়ের সন্ধানে আছেন। তার ঘনিষ্ঠ একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন যে ২০ জন দলীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পাওয়ার সম্ভাবনা এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সাইতো কেন বলেন যে, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাকে লক্ষ্য ধরে নেয়ার সিদ্ধান্ত তিনি গ্রহণ করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া ইয়োকো, সাবেক চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি কাতো কাৎসুনোবু এবং গত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নোদা সেইকোর মত সবাই এখন ২০জন সংসদ সদস্যের সমর্থন নিশ্চিত করে নিতে কাজ করছেন।
উচ্চ কক্ষের সদস্য আয়োইয়ামা শিগেহারু নির্বাচনে অংশ নেয়ার আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে ব্যাখ্যা তিনি দিতে চাইছেন তা হল, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় ভিন্ন একটি বিকল্প রয়েছে।
১৯৭২ সাল থেকে এলডিপি’র সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা কখনোই পাঁচজনের বেশি ছিলনা।
Leave a Reply