স্পোর্টস ডেস্ক: সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ (ডিক্লে)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৪৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩০) ৬.৩ ওভারে ৩০/০
নতুন বন্দরে বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিয়ে শুরু। এরপর জিম্বাবুয়ে হয়ে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে নিউ জিল্যান্ড। দেশের বাইরে এবার পাকিস্তানে নিজেদের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ জিতেছে দুটি করে টেস্ট। শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডে জিতেছে একটি করে টেস্ট।
প্রথম ৪ দিনে উইকেট পড়েছিল কেবল ১৭টি। একটা সময় পর্যন্ত সম্ভাব্য ফল হিসেবে এগিয়ে ছিল ড্র। তবে শেষ দিকে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা বাড়ায় আশায় ছিল বাংলাদেশ।
পঞ্চম দিন সেই প্রত্যাশা মিটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। দুই স্পিনারই মূলত ভেঙে দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড।
ভূমিকা কম নয় হাসান মাহমুদ ও নাহির রানারও। লিটন দাস ব্যর্থ না হলে বাবর আজমের উইকেট পেতে পারতেন শরিফুল ইসলাম। উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিংই করেছেন বাঁহাতি এই পেসার।
তাদের নৈপুণ্যে এবার পাকিস্তানে জয়ের পতাকা উড়াল বাংলাদেশ।
১০ উইকেটের জয়
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়ায় কোনো ভুল করল না বাংলাদেশ। শুরুর জুটিতেই তুলে নিল জয়।
টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে ১২ হারের সঙ্গে একমাত্র প্রাপ্তি ছিল একটি ড্র।
এবার দল জিতল ১০ উইকেটে। দেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের সপ্তম জয়।
৩০ রানের লক্ষ্য ৬.৩ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১ চারে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ২৬ বলে তিন চারে ১৫ রান করেন জাকির। তার ব্যাট থেকেই আসে জয় সূচক বাউন্ডারি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ (ডিক্লে)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৪৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩০) ৬.৩ ওভারে ৩০/০ (জাকির ১৫*, সাদমান ৯*; আফ্রিদি ২-০-৮-০, নাসিম ৩-১-৮-০, সালমান ১.৩-০-৯-০)
১৪৬ রানে পাকিস্তানকে থামাল বাংলাদেশ
মোহাম্মদ আলিকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ১৪৬ রানে থামিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ পেল ৩০ রানের ছোট্ট লক্ষ্য।
টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের সর্বনিম্ন। এর আগে একবারই দুইশ রানের নিচে অলআউট হয়েছিল তারা। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে, ১৭৫ রানে।
মিরাজের অফ স্পিন পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করেছিলেন আলি। ব্যাটে খেলতে পারেননি। জোরাল আবদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
রিভিউ নেন ব্যাটসম্যান। ইম্প্যাক্ট ছিল আম্পায়ার্স কল। তাই ফিরে যেতে হয় তাকে।
২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মিরাজ। সাকিব আল হাসান ৪৪ রানে নেন ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ (ডিক্লে)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৩/১) ৫৫.৫ ওভারে ১৪৬ (শাফিক ৩৭, মাসুদ ১৪, বাবর ২২, শাকিল ০, রিজওয়ান ৫১, সালমান ০, আফ্রিদি ২, নাসিম ৩, শাহজাদ ৫*, আলি ০; শরিফুল ১১-২-২০-১, হাসান ১০-৩-২০-১, সাকিব ১৭-৩-৪৪-৩, নাহিদ ৬-০-৩০-১, মিরাজ ১১.৫-২-২১-৪)
রিজওয়ানের প্রতিরোধ ভাঙলন মিরাজ
লম্বা সময় এক প্রান্ত আগলে রাখা মোহাম্মদ রিজওয়ান ছুড়ে এলেন উইকেট। শেষ কাছে চলে এলো পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।
মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারতেন রিজওয়ান। নাগালের অনেক বাইরের বলে সুইপ করে তিনি টেনে আনলেন স্টাম্পে! সবচেয়ে বড় বাধাকে ফিরিয়ে আনন্দে মাতলেন মিরাজ।
৮০ বলে ছয় চারে ৫১ রান করেন রিজওয়ান।
৫৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ৯ উইকেটে ১৪২। ক্রিজে খুররম শাহজাদের সঙ্গী মোহাম্মদ আলি।
পাকিস্তান এখন ২৫ রানে এগিয়ে।
সেঞ্চুরির পর রিজওয়ানের পঞ্চাশ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ভোগানো মোহাম্মদ রিজওয়ান দাঁড়িয়ে গেছেন এবারও। এক প্রান্তে আগলে রেখে পঞ্চাশ করেছেন তিনি, ৭০ বলে।
খুররম শাহজাদকে নিয়ে ধীরে ধীরে রান বাড়াচ্ছেন রিজওয়ান। অপেক্ষার প্রহর লম্বা হচ্ছে বাংলাদেশের।
৫২ ওভারে পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ১৪১। বাংলাদেশের চেয়ে স্বাগতিকরা এখন ২৪ রানে এগিয়ে।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন রিজওয়ান
মেহেদী হাসান মিরাজের তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢোকা বলে শট খেলার কোনো চেষ্টাই করলেন না মোহাম্মদ রিজওয়ান। পরে আম্পায়ার্স কল পক্ষে থাকায় বেঁচে গেলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের আশা হয়ে ক্রিজে টিকে আছেন রিজওয়ান। তার উইকেট অনায়াসেই পেতে পারতেন মিরাজ। কিন্তু ‘শট অফার’ না করলেও স্টাম্পের দিকে যাওয়া বলে এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার।
বাংলাদেশ রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায়, বল আঘাত করত অফ স্টাম্পের বাইরের দিকে। তাই বেঁচে যান ব্যাটসম্যান। সে সময় ২৮ রানে ছিলেন তিনি।
৪৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ১২১। ৪২ বলে ৩১ রানে খেলছেন রিজওয়ান। ৩ বল খেলে এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি খুররম শাহজাদ।
নাসিমকে ফেরালেন সাকিব
অনেকটা সময় শান্তই ছিলেন নাসিম শাহ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে ধৈর্যের পরীক্ষায় হার মানলেন তিনি।
সাকিব আল হাসানের স্টাম্পে থাকা বল গায়ের জোরে লেগে খেলতে চেয়েছিলেন নাসিম। টাইমিং করতে পারেননি তিনি। শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম।
২২ বলে ৩ রান করেন নাসিম।
৪৩ ওভারে পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ১১৮। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী খুররম শাহজাদ।
পাকিস্তান এখন ১ রানে এগিয়ে।
আফ্রিদিকে ফেরালেন মিরাজ
মধ্যাহ্ন-বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ। পাকিস্তান হারাল তাদের সপ্তম উইকেট।
মেহেদী হাসান মিরাজের একটু নিচু হওয়া ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কোনো বল লাফাচ্ছে, কোনোটা নিচু হচ্ছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা তাই মোটেও সহজ নয়।
জায়গায় দাঁড়িয়ে লেগে খেলতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু ব্যাটের কানা এড়িয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে!
১৬ বলে ২ রান করেন আফ্রিদি।
৩৮ ওভারে পাকিস্তানের রান ৭ উইকেটে ১১১। এখনও ৬ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী নাসিম শাহ।
বাংলাদেশের দারুণ সেশন
২৬ ওভার ৮৫ রান, ৫ উইকেট। পরিসংখ্যানই বলছে বল হাতে কী দারুণ একটা সেশন কেটেছে বাংলাদেশের। এই বোলিং রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে এখন জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে।
পঞ্চম ও শেষ দিন মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৮। ২৬ বলে চারটি চারে ২২ রানে খেলছেন মোহাম্ম রিজওয়ান। ৯ বলে ১ রানে তার সঙ্গী শাহিন শাহ আফ্রিদি।
৪ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে এখনও বাকি দুই সেশন।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে শান মাসুদকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে বাবর আজমের উইকেট পেতে পারতেন শরিফুল ইসলাম। লিটন দাসের ব্যর্থতায় বেঁচে গিয়ে জুটি গড়ছিলেন বাবর। তাকে বোল্ড করে দেন গতিময় পেসার নাহিদ রানা। শূন্য রানে প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাউদ শাকিলকে থামান সাকিব আল হাসান।
এরপর পাল্টা আক্রমণে দ্রুত কিছু রান করেন আব্দুল্লাহ শাফিক ও রিজওয়ান। শাফিককে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন সাকিব। পরের ওভারে শূন্য রানে আঘা সালমানকে বিদায় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বোলারদের মিলিত অবদানে প্রথম টেস্টে খুব ভালো অবস্থানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। যেখান থেকে জয়ের স্বপ্ন দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ফেরাতে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের ডেলিভারি চলে যেত লেগ স্টাম্পের উপর দিয়ে।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল পিছিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। ব্যাটে খেলতে পারেননি, আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার জোরাল আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ইম্প্যাক্ট ঠিকই ছিল, তবে বাড়তি বাউন্স করায় বল চলে যেত স্টাম্পের উপর দিয়ে। নষ্ট হল তিন রিভিউয়ের একটি।
৩৫ ওভারে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১০৬। এখনও ১১ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
গোল্ডেন ডাক আঘা সালমান
বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্লিপে আঘা সালমানের দারুণ ক্যাচ নিয়ে এতে বড় অবদান রাখলেন সাদমান ইসলাম।
অফ স্টাম্পের বাইরের একটু নিচু হওয়া বল পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সালমান। মাঝ ব্যাচে নিতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে যায় প্রথম স্লিপে। বেশ নিচু হওয়া ক্যাচ ঝাঁপিয়ে মুঠোয় নেন সাদমান।
মুখোমুখি প্রথম বলেই ফেরেন সালমান।
৩৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১০৫। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী শাহিন শাহ আফ্রিদি।
শাফিককে ফেরালেন সাকিব
ঘটনাবহুল ওভারে আব্দুল্লাহ শাফিকের উইকেট পেলেন সাকিব আল হাসান। ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিতে গিয়ে দেরি করে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাকিব পরের বল করার আগে শেষ মুহূর্তে জায়গা থেকে সরে যান রিজওয়ান। ক্ষুব্ধ সাকিব বল থ্রো করেন কিপারের কাছে। ব্যাপারটা মোটেও পছন্দ হয়নি আম্পায়ারের।
ওভারের শেষ বলে আব্দুল্লাহ শাফিককে ফিরিয়ে দেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেরিয়ে এসে তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন পাকিস্তানী পেসার। আস্থার সঙ্গে ক্যাচ নেন সাদমান ইসলাম। ভাঙে দ্রুত এগোনো জুটি।
৮৬ বলে তিন চারে ৩৭ রান করেন শাফিক।
৩৩ ওভারে পাকিস্তানের রান ৫ উইকেটে ১০৪। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী আঘা সালমান।
শূন্য রানে শাকিলকে ফেরালেন সাকিব
একই রানে দুটি উইকেট হারাল পাকিস্তান। বাবর আজমকে ফিরিয়ে নাহিদ রানা জুটি ভাঙার পর শূন্য রানে সাউদ শাকিলকে ফেরালেন সাকিব আল হাসান।
বাঁহাতি স্পিনারের বল বেরিয়ে এসে লেগে খেলতে চেয়েছিলেন শাকিল। বলের লাইনে যেতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এগিয়ে যান অনেকটা। বল গ্লাভসে জমিয়েই বেলস ফেলে দেন লিটন দাস।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এবার টিকলেন কেবল চার বল।
২৭ ওভারে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ৬৭। ক্রিজে আব্দুল্লাহ শাফিকের সঙ্গী প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এখনও ৫০ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
বাবরকে ফেরালেন রানা
শূন্য রানে বেঁচে গিয়ে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন বাবর আজম। তবে তাকে বেশি দূর যেতে দিলেন না নাহিদ রানা। গতিময় এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন বাবর।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিতে কাভার ড্রাইভ করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তবে টাইমিং করতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ভাঙে ৮১ বল স্থায়ী ৩৮ রানের জুটি।
তিন চারে ৫০ বলে ২২ রান করেন বাবর।
২৬ ওভারে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৬৬। ক্রিজে আব্দুল্লাহ শাফিকের সঙ্গী সাউদ শাকিল।
শূন্য রানে জীবন পেলেন বাবর
প্রথম ইনিংস বাবর আজম টিকেছিলেন দুই বল। এবার ফিরতে পারতেন প্রথম বলেই। সেটা হল না লিটন দাসের ব্যর্থতায়। তার গ্লাভস থেকে ফস্কে গেল ক্যাচ।
শরিফুল ইসলামের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলেছিলেন বাবর। ঠিক মতো পারেননি। অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বল ছুঁয়ে যায় ব্যাটের কানা। ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নিলেও ধরে রাখতে পারেননি উইকেটরক্ষক লিটন।
গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ থেকে বেঁচে যাওয়া বাবর এক বল পরেও ফিরতে পারেন। এবার একটুর জন্য লেগ স্টাম্পে লাগেনি শরিফুলের আরেকটি দারুণ ডেলিভারি।
১৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৩১।
রিভিউ নিয়ে মাসুদকে ফেরাল বাংলাদেশ
হাসান মাহমুদের হাত ধরে দিনের দ্বিতীয় ওভারে মিলল সাফল্য। রিভিউ নিয়ে শান মাসুদকে ফেরাল বাংলাদেশ।
ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাসুদ। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে।
আম্পায়ার জোরাল আবেদনে সাড়া না দিলে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আল্ট্রাএজে মেলে ব্যাটের কানা স্পর্শের প্রমাণ। ফিরে যান পাকিস্তান অধিনায়ক।
৩৭ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন মাসুদ।
১২ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ২৮। ক্রিজে আব্দুল্লাহ শাফিকের সঙ্গী বাবর আজম।
চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ যেখানে দাঁড়িয়ে
অনেক রেকর্ড গড়া ইনিংসে স্রেফ ৯ রানে ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ থাকছে মুশফিকুর রহিমের। তবে তার দৃঢ়তায় এবং মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দৃঢ়তা ভরা জুটিতে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুবিধানজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩। এখনও ৯৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
২৬ বলে এক চারে ৯ রানে খেলছেন অধিনায়ক শান মাসুদ। ওপেনার আব্দুল্লাহ শাফিক ৩১ বলে এক চারে করেছেন ১২ রান।
একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। উইকেটে পেসারদের জন্য এখনও খুব বেশি কিছু নেই। তবে স্পিনাররা টার্ন ও বাউন্স পেয়েছেন। দুয়েকটা বল নিচুও হয়েছে।
পঞ্চম দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন সাকিব আল হাসান ও মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে):
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৪৮/৬ (ডিক্লে)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৬৫
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১০ ওভারে ২৩/১ (শাফিক ১২*, আইয়ুব ১, মাসুদ ৯*; শরিফুল ৫-২-১৩-১, হাসান ৫-২-৯-০)
Leave a Reply