1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম শুধু হৃদয় ভাঙা নই, আমি ক্ষুব্ধ, লজ্জিত: বাঁধন সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন পশ্চিম তীরে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জাপানের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিদেশিদের স্বার্থে কাজ করছেন: রিজভী পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন ভিপি নুর: ডিএনসিসি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই

ক্ষমা করবেন স্যার-লুৎফর রহমান রিটন

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

[ ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট একটা ছড়া লিখেছিলাম শিক্ষকদের নিয়ে। ফেসবুক সেটা মনে করিয়ে দিলো।]

আমি আমার (প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ) জীবিত প্রয়াত সকল শিক্ষককে জানাই গভীর প্রণতি।

আমার মাস্টার মশাইদের সম্মানে এবং বাংলাদেশের সকল অপমানিত লাঞ্ছিত নিগৃহীত শিক্ষকের সম্মানে ছড়াটা এখানে তুলে দিচ্ছি ফের। আমরা লজ্জিত। ক্ষমা করবেন স্যার।

মাস্টার মশাইদের শ্রীচরণে আমার নৈবেদ্য
লুৎফর রহমান রিটন

হাতে নিয়ে ডাস্টার আর শাদা চক
ক্লাশে এসে ঢুকতেন প্রিয় শিক্ষক।
জটিল অংক আর তার সমাধান
লিখতেন বোঝাতেন প্রতিটি বিধান।

কালো ‘ব্ল্যাক বোর্ডের’ কুচকুচে গা-য়
শাদা চকে লিখতেন শ্রীচরণ রায়।

পড়াতেন ‘নীতিকথা’ ‘দুর্নীতি রোধ’
অন্তরে জাগাতেন ন্যায় শুভ বোধ।
শেখাতেন মন্ত্রটা মানবিকতার
বলতেন নিতে হবে আগামীর ভার।

পড়াতেন বিজ্ঞান–পৃথিবীটা গোল
বোঝাতেন ইংরেজি সমাজ-ভূগোল।
দাগ টেনে বোঝাতেন বাতাসের বেগ
কোনটা বাস্তবতা কোনটা আবেগ
সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব কোথায়
অশুভের হাত থেকে বাঁচার উপায়
বাংলার ব্যাকরণ প্রত্যয়-কাল
পদ্য ও কবিতায় ছন্দের চাল
সাধু আর চলিতের বিপুল তফাৎ
মিশ্রণ দূষণীয়। কোথা সংঘাত…

পড়াতেন ইতিহাস শাসকের দান
হত্যা ও লুন্ঠন ও দখলের গান
নিষ্ঠুর শাসকের হত্যার হাট
মোঘল আমল তার যতো সম্রাট…

পড়াতেন ধর্ম ও তার যতো মীথ
আগামীর ইঙ্গিতে মুখর অতীত
বিকশিত সভ্যতা মানুষের দায়
তাঁর ঋজু ভঙ্গির বলিষ্ঠতায়
ক্লাশরুম হয়ে যেতো আলোর কুসুম
কখন কি প্রয়োজন জাগরণ ও ঘুম
ছাত্রছাত্রীদের মনন মেধায়
তিনি আলো ফেলতেন কী দক্ষতায়!

বিনিময়ে সামান্য আয় হতো তাঁর
তাই দিয়ে বাঁচাতেন দারা পরিবার
দরিদ্র শিক্ষক মলিন পোশাক
ঠিকমতো জুটতো না ভাত-ডাল-শাক
আলোহীন। কুপি জ্বলা তাঁর সংসার
মুখ বুজে বয়ে চলা জীবনের ভার!

শিক্ষক শ্রীচরণ আর অনটন–
পায়ে পায়ে হেঁটেছিলো সারাটা জীবন…!

রচনাকাল/ অটোয়া ২৫ আগস্ট ২০২০

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest