নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: মাত্রই এক মাস আগে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলো বাংলাদেশে। অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা চলছে প্রতিবেশী ভারতেও। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপ সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছে মোদি সরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের পর্বতসমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এমনই একটা পরিস্থিতিতে এই দুই দেশ সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ৭ দিনের এ সফর। ১০ সেপ্টেস্বর (মঙ্গলবার) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১০-১৬ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফরে অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রচারে সহায়তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন লু।
এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের ওই প্রতিনিধিদল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নে কীভাবে বাংলাদেশকে সহায়তা করা যায়, সেটি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, সফরকালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভারতের নয়াদিল্লি সফরকালে ডোনাল্ড লু দুই দেশের বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া, উন্নয়ন, নিরাপত্তা এবং নারীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরবেন। তাছাড়া, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
Leave a Reply