1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
জাপানে ভাষা শিক্ষা কোর্সে আগমন প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর আমি বাদীকে চিনি না, বাদীও আমাকে চেনেন না : আতিকুল বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবরুদ্ধ: অ্যামনেস্টিসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ ভারত থেকে এলো আরো সাড়ে ১১ হাজার টন চাল হাসনাতের বক্তব্য ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ক গল্পের সম্ভার’: নেত্র নিউজকে সেনাসদর সেনাবাহিনী নিয়ে হাসনাতের পোস্ট ঘিরে এনসিপিতে বিভাজন, অস্বস্তি সুন্দরবনে নতুন এলাকায় ফের আগুন, ধোঁয়ার কুণ্ডলী চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকির মুখে জাপানের প্রতিরক্ষা জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত সিলেটে এনসিপির ইফতার মাহফিলে মারামারি, সাংবাদিকদের ইফতার বয়কট

খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে চারজন নিহত, ১৪৪ ধারা জারি

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: খাগড়াছড়ি শহরে চুরির অভিযোগে বুধবার গণপিটুনিতে এক যুবক মারা যান। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতভর দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সকালে এই সহিংসতা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। দুই জেলায় এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন। সংঘর্ষের সময় দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নিহত চারজন হলেন- খাগড়াছড়ির ধন রঞ্জন চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা (২০) এবং রাঙামাটিতে একজন। এর মধ্যে ধন রঞ্জন চাকমার বাড়ি দিঘীনালায়। রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমার সদরের নারানখাইয়া এলাকায়। তবে রাঙামাটিতে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের গুজবকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সদরের বাঙালি অধ্যুষিত থানা বাজার ও বোয়ালখালী বাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৪টার দিকে জনা পঞ্চাশেক বাঙালি মিছিল নিয়ে কলেজ গেট থেকে থানা বাজার ঘুরে লারমা স্কয়ারের দিকে এগোলে পাহাড়িরা বাধা দেয়। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা লারমা স্কয়ারে সওজের জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলির শব্দ হলে বাঙালিরা পিছু হটে।

সন্ধ্যার পর থেকে দীঘিনালা, পানছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার অবরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। পানছড়িতে বিক্ষোভকারীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

রাতে জেলা সদরের নারানখাইয়া ও স্বনির্ভর এলাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনা যায়। কারা গুলিবর্ষণ করেছে কেউ নিশ্চিত না করলেও এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুই পাহাড়ি যুবক ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জুরান চাকমাকে (২০) মৃত অবস্থায়, রুবেল ত্রিপুরা (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় আজ শুক্রবার বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ জারি করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে আজ শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ তুলে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা চালানো হয়। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী বাস, ট্রাক, ট্যাক্সিতেও হামলা করা হয়। শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা।

সহিংসতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এই সংঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার জানান, সংঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া একজন মারা গেছেন। তবে তার নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সকাল থেকে রাঙামাটিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনার পর পৌর এলাকায় বেলা ১টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। তিনি বলেন, যেহেতু রাঙ্গামাটির পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এবং জনগণের জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই কারণে আজ দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই আদেশ না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে সকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ শুরু করেছে। খাগড়াছড়িতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।

এদিকে আগুনে ফাইবার অপটিকের ক্যাবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেটসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেটের পরিচালক মো. শাহীন।

বর্তমানে পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত পাহাড়ি লোকজন রাস্তায় গাছ কেটে এবং চেঙ্গী নদীর জন্য নির্মিত ব্লক ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি শহরের নোয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিএনপি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে বুধবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঙালি ও পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকটা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দীঘিনালায় সংঘাত ঘটানোর উস্কানি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest