নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতিতে এলো ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠকে যোগ দেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম। সাদিক কায়েম এতদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সামনের সারিতে দেখা গেছে তাকে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার শপথগ্রহণের দিন সমন্বয়কদের সঙ্গে বঙ্গভবনে যাওয়া ও ভেতরে সবার সঙ্গে ছবিতেও দেখা যায় সাদিককে।
গতকাল শিবিরের হয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেন সাদিক। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।
জানা গেছে, সাদিক কায়েম ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। সাদিক খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে কামিল পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিবির ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ছাত্ররাজনীতি গড়ে উঠবে। পনেরো বছর ধরে ছাত্ররাজনীতির নামে জুলুমতন্ত্র চলে আসছে। আমরা এটার অবসান চাই। আমরা মেধার ভিত্তিতে রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি চাই।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘আমরা সব ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে একটি সংলাপের আয়োজন করতে বলেছি, যেখানে শুধু ফ্যাসিবাদের দোসর ছাড়া সব ছাত্র সংগঠন আসবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব দ্রুতই সংলাপ আয়োজন করার কথা বলেছে। সেই সংলাপ এবং শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার আলোকে তারা একটা সিদ্ধান্তে আসবেন।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ঢাবিতে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম ছিল ছাত্রশিবিরের।
Leave a Reply