নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: জামালপুরে টিসিবি পণ্য বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে না পেরে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জামালপুর সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে এবং শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পণ্য নিতে আসা নিম্নআয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ইউনিয়নের তিনটি পয়েন্টে সকাল থেকে দুই লিটার সয়াবিন, দুই কেজি ডাল ও পাঁচ কেজি চাল ৪৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ইউনিয়নের ৪ হাজার ২০০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে এ দামে পণ্য দেওয়া হবে।
টিসিবি পণ্য কিনতে আসা একাধিক নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিয়মিত টিসিবি কার্ডধারীরা অনেকেই পণ্য পাচ্ছেন না। নতুন করে এক ধরনের স্লিপ তৈরি করে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। তবে স্লিপগুলো যাচাই করে দেখা যায়, বেশিরভাগই স্বাক্ষর ছাড়া।
ডাটাবেজে নাম থাকা কার্ড নিয়ে এসে পণ্য না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে এমন একজন আক্তার হোসেন জানান, তিনি ইউনিয়নের শীতলকূর্শা গ্রাম থেকে পণ্য কিনতে এসেছেন। কিন্তু কার্ডে না দিয়ে স্লিপে দিচ্ছে। তবে এমনকিছু আমাকে দেওয়া হয়নি।
জয়রামপুর গ্রামের খোদেজা নামে এক নারী কার্ড নিয়ে এসে পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের জানান, কার্ডের বদলে স্লিপ দিয়ে পণ্য দিচ্ছে। আগের কার্ডধারীরা পণ্য পাবে না বলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওই নারী।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলম আলীর নামে মামলা থাকায় তিনি পরিষদে আসছেন না। এ অবস্থায় ইউপি সদস্যরা কার্ডের বদলে এক ধরনের স্লিপে টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য জানান, বিএনপি নেতাদের চাপে কার্ড অনুযায়ী পণ্য না দিয়ে স্লিপে পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শরিফপুর পরিষদ ভবন পয়েন্টে উপস্থিত থাকা ট্যাগ অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, টিসিবি পণ্য বিতরণে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। তবে কার্ডধারীরা পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নত শহীদ পিংকী বলেন, যেহেতু কোনো কার্ড বাতিল করা হয়নি সেহেতু কার্ডধারীরা অবশ্যই পণ্য পাবেন। কার্ডধারী কেউ অনুপস্থিত থাকলে সেই পণ্য অন্য নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে দেওয়া হবে।
Leave a Reply