স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট ইতিহাসের উজ্জ্বল এক চরিত্র হিসেবে কিংবদন্তিদের কাতারে আগেই নিজেকে নিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে সবাইকে করেছেন মুগ্ধ। ব্যাট-বলের খেলায় নিজের পাশাপাশি বাংলাদেশ নামটাও তার জন্য হয়েছে আলোকোজ্জ্বল। তিনি একের পর এক রেকর্ড গড়ায় অসংখ্যবার উল্টেছে পরিসংখ্যানের পাতা। কখনোই শেষ হওয়ার নয় তার গুণকীর্তন।
ক্যারিয়ারের সাঁঝবেলায় এসে পড়তি ফর্মের জন্য হয়ে পড়েন সমালোচিত। মি. অলরাউন্ডারের অবসরের ঘোষণা আসার পর ক্রিকেট বিশ্ব আবারো তাকে নিয়ে আলোড়িত। টি-২০ বিশ্বকাপেই খেলেছেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ম্যাচ। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে চান শেষ টেস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আগামী বছর ওয়ানডেতেও পথচলার ইতি টানবেন।
এক নজরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের গড়া রেকর্ডের বিবরণ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:
# ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব তিন ফরম্যাটেই আইসিসি র্যাংকিংয়ের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে স্থান পান।
# বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ৭০৮ উইকেটের মালিক।
# একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে সব ফরম্যাটে ৭,০০০ রান এবং ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখা ক্রিকেটার।
# চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ (২২৪ রান) জুটির রেকর্ড। একইসঙ্গে ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটে সর্বাধিক ও যেকোনো উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের জুটি।
# টেস্টে সবচেয়ে কম ম্যাচ (৫৪) খেলে ৩,০০০ রান এবং ২০০ উইকেট লাভ করা অলরাউন্ডার। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এ কীর্তি গড়েন।
#টেস্টে দ্রুততম ম্যাচে (১৯৯) ব্যাটিংয়ে ৫,০০০ ও বোলিংয়ে ২৫০ উইকেট পাওয়া ক্রিকেটার। ইতিহাসের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সাফল্য পান।
# টি-২০ ফরম্যাটে দ্রুততম (২৬০ ম্যাচ) এবং তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ৪,০০০ রান করেন এবং ৩০০ উইকেট পান।
# ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে টি-২০তে এক হাজার রান পাওয়ার পাশাপাশি ১০০ উইকেট শিকারি বোলার।
# টেস্টে সমচেয়ে কম ম্যাচ (৫৪) খেলে ৩,০০০ রান ও ২০০ উইকেট পাওয়ার মাইলফলকে পা রাখা ক্রিকেটার।
# দ্রুততম সময়ে এবং চতুর্থ অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডেতে (২০২ ম্যাচ) ৬,০০০ রান এবং ২৫০ উইকেটের মালিক হন।
# সবচেয়ে কম ম্যাচ (১৫৬) খেলে ওয়ানডেতে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে ৪,০০০ রান এবং ২০০ উইকেট লাভ।
# প্রথম স্পিন বোলার এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে কোনো একটি ভেন্যুতে শতাধিক ওয়ানডে উইকেট নেন । মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ১১৯।
# সব ধরনের স্বীকৃত টি-২০ ফরম্যাটে কোনো একটি ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখল ( মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১৭৪ উইকেট)।
# আন্তর্জাতিক টি-২০তে তৃতীয় সর্বাধিক ১৪৯ উইকেটের মালিক সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে অবশ্য তিনি সবার উপরে।
#টি-২০ বিশ্বকাপে রেকর্ড ৫০ উইকেট শিকারি বোলার।
# টেস্টে দ্রুততম (৫৯ ম্যাচ) ৪,০০০ রান ও ২০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি তার নামের পাশে লেখা।
# প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেট নেন। তৃতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬,০০০ রান এবং ৩০০ উইকেট অর্জন করেন।
# ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একইসঙ্গে এক হাজারের অধিক রান ও ৪০টির বেশি উইকেট পেয়েছেন।
# ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটি ফরম্যাটে কমপক্ষে ৫ বার প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন।
# তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি সব ফরম্যাটে ১৪,০০০ রান এবং ৭০০ উইকেটের কীর্তি গড়েন।
Leave a Reply