1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :

কবরের জন্য আলাদা জায়গা পেলেন না মতিয়া চৌধুরী, স্বামীর কবরে দাফন

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

নিউজ ডেস্কঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়েছে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে।

তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা দেওয়া হয়নি। না পেয়ে সেখানে মতিয়া চৌধুরীর স্বামী বজলুর রহমানের কবরেই তাঁকে শায়িত করা হয়।

মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে কবরের জন্য একটি প্লট চেয়েছিলাম।
কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে অনুমতি না পেলে প্লট বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। আমরা আজ সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অনুমতি পাইনি। পরে তাঁর স্বামীর কবরে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁর মরদেহ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নেওয়া হয়।

আজ সকালে মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ তাঁর রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দৈনিক সংবাদ পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার আগে মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ গুলশানের আজাদ মসজিদে নেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই আত্মগোপনে থাকায় জানাযায় দলটির কোনো পর্যায়ের নেতাকে দেখা যায়নি। তবে দলটির সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে আজাদ মসজিদে দেখা যায়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের লীগের কর্মী, কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীদের দেখা যায় জানাজায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।

জোহরের ফরজ নামাজ শেষে মতিয়া চৌধুরীর জানাযায় অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মতিয়া চৌধুরীর জন্য সবার কাছে দোয়া চান তাঁর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। জানাযা শেষে আজাদ মসজিদের দক্ষিণ পাশের গেটে মতিয়া চৌধুরীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এখানেও আওয়ামী লীগ, দলটির সভাপতির নামে আলাদা করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়ি আজাদ মসজিদের গেট থেকে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের ৪০-৫০ জন কর্মীকে দুই মিনিটের স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নামে নানান স্লোগান দেন। মতিয়া চৌধুরীর জানাযাকে ঘিরে আজাদ মসজিদ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে খ্যাত মতিয়া চৌধুরী গতকাল বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2023. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest