1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
এক-এগারোর পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া ঠিক হবে না: ইকবাল করিম শুধু হৃদয় ভাঙা নই, আমি ক্ষুব্ধ, লজ্জিত: বাঁধন সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন পশ্চিম তীরে কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জাপানের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিদেশিদের স্বার্থে কাজ করছেন: রিজভী পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন ভিপি নুর: ডিএনসিসি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই

নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানী

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: নিষিদ্ধের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। প্রতি বছরের মতো এবারও অনলাইনে সম্মেলন ডেকেছে হিজবুত তাহরীর/উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ।

 

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় এ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সম্মেলনের ১১ দিন আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ভবনের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছে। এবারে পোস্টারের বক্তব্য নির্ধারণ করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী-বিএনপিগোষ্ঠী কর্তৃক মার্কিন-ব্রিটেনের স্বার্থ রক্ষার প্রতিযোগিতায়’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এবারের অনলাইন সম্মেলনের সময় ও উদ্দেশ্য প্রবলভাবে প্রকাশ পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সম্মেলন ঘিরে জাল পাতা হয়েছে। হিজবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। যারা নিষিদ্ধ সংগঠনের পোস্টার লাগিয়েছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে পোস্টার লাগানোর সময় হাতেনাতে ধরেছে পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল (সিটিটিসি)। তারা হচ্ছে মো. ইয়াসিন আরাফাত (২২) ও মো. যুবরাজ হোসেন রনি (১৮)। মঙ্গলবার খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রীর ফালগুনী চেক এলাকা থেকে তাদের পোস্টারসহ গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।

সম্মেলনের প্রচারণার জন্য গত মঙ্গলবার থেকে পল্টন, সিদ্ধেশ্বরী, বাংলামোটর, রামপুরা, খিলগাঁও, কলাবাগান এলাকার বহু ভবনের দেয়াল ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ সংগঠনটির পোস্টারে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই পোস্টারগুলো দেখতে পাওয়া যায়। কারা পোস্টারগুলো লাগিয়েছে তা জানেন না কেউ। তবে তাদের শঙ্কা, জঙ্গিরা সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের কোনো অপকর্ম ঘটানোর প্রস্তুতি হিসেবে এ কাজ করে থাকতে পারে। একটি নিষিদ্ধ সংগঠন কীভাবে প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনার সাহস দেখাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।

এ প্রসঙ্গে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সময়ের আলোকে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অনেকের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, তারা অনলাইনে সম্মেলন করলেও তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর সময়ের আলোকে বলেন, হিজবুত তাহরীর সদস্যরা শুধু পোস্টারিংয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না। গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পোস্টার লাগাতে পারলে বিপজ্জনক কিছু ঘটাতেও পিছপা হবে না। এ জন্য আরও কঠোরভাবে দমন করতে হবে এ জঙ্গি সংগঠনকে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সময়ের আলোকে বলেন, হিজবুত তাহরীরের হয়ে যারা পোস্টার লাগিয়েছে তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রতি বছরই তারা অনলাইনে সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। আমরা তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারও করেছি। এবারও আমাদের গোয়েন্দারা বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে হিজবুত তাহরীর সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান সময়ের আলোকে বলেন, হিজবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। রাজধানীতে প্রকাশ্যে পোস্টার লাগানোর বিষয়টিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও নজর দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, অপরাধ দমনের জন্য প্রোঅ্যাকটিভ ও রিঅ্যাকটিভ দুটো পদ্ধতি থাকে। আমাদের এখানে প্রোঅ্যাকটিভ উদ্যোগ দেখা যায় না। এসব দেখতে দেখতে আমাদের যেন সয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো সিরিয়াসলি দেখা দরকার। তিনি গুলশান হামলার জের টেনে বলেন, ভুলে গেলে চলবে না ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ জন্য আরও সতর্ক হতে হবে গোয়েন্দাদের।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপরও প্রতি বছরই সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয় জঙ্গি সংগঠনটি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest