1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
ইতিহাসের সেরা নির্বাচনের পরিকল্পনা করছি: প্রধান উপদেষ্টা মানিকগঞ্জে সমন্বয়কদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ক্লিনিক থেকেই দেশবাসীর কথা জানতে চাইলেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াইয়া ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ যুক্ত নয় মার্কিন সরকার : দূতাবাস টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি দিয়ে হামলা ‘বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায়’ অসহায়ত্ব, প্রবাসীদের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রথমবারের মতো দেশে ব্যাট রিওভাইরাস শনাক্ত, ছড়ায় যেভাবে মায়ের জন্য বাসায় তৈরি খাবার নিয়ে ক্লিনিকে তারেক রহমান আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দেবে’: সিইসি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজ, কী হবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীর?

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: ঢাকা সিটি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। অভিভাবকরাও সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে হতাশায় পড়েছেন। শুধু তাই নয়, তারা কারও কাছে অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ‘অবৈধভাবে’ নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগে অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন (শুক্রবার ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত)। শিগগিরই কলেজ খুলবে এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে অধবৈধভাবে পদ দখল করেন অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। তিনিই উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন মোখলেছুর রহমানকে। আন্দোলনের কারণে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে নেয়ামুল এখনও পদত্যাগ করেনি।

গত ২৮ অক্টোবর পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ, বৈধ অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনাসহ কয়েক দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরদিনও ক্লাস পরীক্ষায় অংশ না দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে নেন তারা। গভর্নিং বডি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফেরেননি এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না এবং পরীক্ষাতেও অংশ নেবে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এভাবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ালে ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ ওইদিনই নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়। এরই মধ্যে জোর করে পদে বসা ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদ ছেড়ে দেন।

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দখল করতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে এসে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন গত ৭ আগস্ট। অধ্যক্ষ মো. বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। ঘটনার পর ওই দিনই সন্ধ্যায় (৭ আগস্ট) নেয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন। সেদিনই কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেই নেয়ামুল হক নোটিশ জারি করেন পরদিন ৮ আগস্ট জরুরি সভা করার জন্য।

অন্যদিকে ৮ আগস্ট ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ’ হওয়ার কারণ দেখিয়ে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হক গত ১১ আগস্ট অধ্যক্ষ এবং ‘কোনও কারণ ছাড়াই’ ছয় শিক্ষককে অফিস আদেশ দিয়ে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

জোর করে পদত্যাগ করানোর বিষয়ে মো. বেদার উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের কারেন। গত ২৭ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর একটি আদেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না– তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে রুল জারি করা হয়। আদেশে আবেদনকারীর আবেদন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিতদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উচ্চ আদালনের আদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টরা আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে—শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজে রেগুলার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু এই নিয়োগ দিতে তো সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কোনোভাবে একজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ করার। কিন্তু তারা (শিক্ষার্থী) কোনোভাবেই মানছে না। নিয়োগ দেওয়া সময়সপেক্ষ ব্যাপর। এখন অ্যাক্টিং প্রিন্সিপ্যাল ও ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে সরিয়ে দিতে হবে, পদত্যাগ করাতে হবে। আমরা ভাইস-প্রিন্সিপ্যালকে পদত্যাগ করালাম এবং অ্যক্টিং ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল দিলাম, আর প্রিন্সিপ্যাল যিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছেন তিনি। যেহেতু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়ে গেছে, সেহেতু নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন গভর্নিং বডি নিয়ে আমরা বসবো। দুই- একদিনের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করায় এখন আরও ঝামেলা হবে। আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারবো না। এখন আইনগতভাবে এগোবার চেষ্টা করবো।’ আপাতত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায় কিনা সে আলোচনা করবো।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। অধ্যক্ষকে সরিয়ে কলেজে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। এর বিরূপ ফলাফল ভোগ করছি আমরা। আমাদের সন্তানদের কথা না ভেবে পদ দখলের লড়াইয়ে কলেজটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। আমাদের সন্তানদের শিক্ষার কী হবে ভেবে আমরা চিন্তিত।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest