নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে তার প্রতি সমর্থন জানাবেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মমতা রাঁচিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘জি ২৪ ঘণ্টা’।
সেখান থেকে ফিরে এসে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা তো কেউ ঘটনাকে সমর্থন করছি না। যে কোনো ঘটনাই যে কোনো ধর্মের ওপরই হোক না কেন, আমরা সেটাকে সমর্থন করি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুব লিমিটেড। যেহেতু আমরা আলাদা দেশ, বাংলাদেশ আলাদা দেশ, এটা ইন্ডিয়া সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে পারে, বলে অ্যাকশন নিতে পারে।
“এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ারস পলিসির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্যান্ড হচ্ছে, যে যখনই সরকারে থাকুক না কেন আমরা সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করি।”
মমতা বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, কোনো ধর্মের ওপর কোনো বর্ণের ওপর কোন জাতির ওপরই কোনো অত্যাচারই আমরা মানি না, না হিন্দু, না মুসলমান, না খ্রিষ্টান। আমরা সবাই এক। এটাই আমাদের নীতি।”
বাংলাদেশে অনেক মানুষ এখনও মারা গেছে, অত্যাচারিত হচ্ছে মন্তব্য করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগেও আন্দোলনে অনেক ছাত্রছাত্রী মারা গেছে, আর আজও সেটার রেশ চলছে।”
যদিও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কোথাও চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদের কোনো কর্মসূচিতে কেউ মারা গেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।
মমতা বলেন, “এসব ঘটনা আজ নয় গত এক বছর ধরে হচ্ছে। প্রত্যেকটা ঘটনার জন্যই আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমরা যেহেতু একটা অন্য দেশের নাগরিক। সুতরাং ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারে। এতে আমাদের তো সম্পৃক্ত করা হয় না।
“আপনারা জানেন, তিস্তা চুক্তি হয়ে গিয়েছিল, আমাদের জানানো হয়নি।”
বাংলাদেশকে ভালোবাসেন জানিয়ে মমতা বলেন, “বাংলাদেশও মনে হয় আমাদের ভালোবাসে।”
ধর্মে বর্ণে কোনো বিভেদ হোক এবং তার কোন রেশ কারও ওপর পড়ুক সেটাও চান না বলেও মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারে যারা আছেন তারও তো একটি ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ অবস্থান নেন। আমরা মনে করি কোনোটাই ঠিক নয়। মন্দির থাকবে, মসজিদ থাকবে, গুরুদুয়ারা থাকবে, গির্জাও থাকবে।”
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন সংস্করণে জানায়, বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতার ইসকনের সঙ্গে দুবার কথা বলেছি। এটা অন্য দেশের বিষয়। এ ক্ষেত্রে দেশের সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তার সঙ্গে আছি।”
Leave a Reply