নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: দেশে ধারাবাহিকভাবে কমছে এফডিআই বা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ কমেছে ১৫ শতাংশ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না এলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য ব্যবসার পরিবেশ তৈরি ও আস্থা অর্জন করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তারা।
ভাটা পড়েছে বিদেশি বিনিয়োগেও। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে নিট এফডিআই বা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩০ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থাৎ তিন মাসে এফডিআই কমেছে ১৫ শতাংশ।
এ নিয়ে ফরেন ইনভেস্টর চেম্বারের সভাপতি জাবেদ আখতার বলেন, ‘এই মুহূর্তে তিন মাসে নতুন বিনিয়োগ আসবে না। কারণ সবাই চিন্তা করবে কী হবে বাংলাদেশে, নতুন সরকার আসকে কি আসবে না। এসব অনিশ্চয়তা তো থাকবেই। দ্রুত এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।’
দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে গড়ে তোলা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও কাঙ্খিত বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সেবার পরিধি বাড়ানো ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা না গেলে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসবে না।
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বারের সভাপতি জাবেদ আখতার বলেন, ‘প্রফিট করে এখান থেকে টাকা তো নিয়েও যেতে হবে। এ জন্য চিন্তা করছে তারা। আমাদের দরকার দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো। যতই আমরা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে পারব ততই তারা বিনিয়োগে ভরসা পাবে।’
বিডার নির্বাহী সদস্য ড.খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউটিলিটি যে খাতগুলো রয়েছে, যেমন গ্যাস ও বিদ্যুৎ, এগুলো কিন্তু এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমাদের এখন যে পাঁচটি বিনিয়োগকারী জোন রয়েছে সেখানে এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসতে পারেন।’
বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে, দেশের এফডিআই এখনো জিডিপির ১ শতাংশের কম। উন্নত দেশের লক্ষ্য পূরণে যা আরও বাড়াতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি নীতি সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ বিশ্লেষকদের।
Leave a Reply