1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :

“আন্তর্জাতিক মানের বাংলাদেশ রাষ্ট্র চিন্তা” -মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিশ্বাস।

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

“বাংলাদেশ বা যে কোনো দেশকে আন্তর্জাতিক মানের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধানে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং তার বাস্তবায়ন জরুরি।”
এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিত প্রচেষ্টা।

মূল বিষয়বস্তু দু-ভাগে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

(ক) প্রথম অংশ: “আন্তর্জাতিক মানের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধানে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং করণীয়”

১. সুশাসন প্রতিষ্ঠা (করণীয়):

* জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা: শাসকদের কর্মকাণ্ডের জন্য স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
* দুর্নীতি প্রতিরোধ: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর কার্যক্রম স্বাধীন এবং শক্তিশালী করতে হবে।
* জনপ্রশাসনের দক্ষতা বাড়ানো: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রশিক্ষণ এবং সম্পদের অপচয় রোধ।
উদাহরণ: সিঙ্গাপুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেকে একটি দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

২. অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈষম্য কমানো (করণীয়):

* শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরি: গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে এবং নতুন শিল্প স্থাপনে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে।
* সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
* বৈশ্বিক বাণিজ্যের উন্নয়ন: রপ্তানিমুখী শিল্প যেমন গার্মেন্টস, প্রযুক্তি খাতকে আরও সম্প্রসারণ করা।
উদাহরণ: দক্ষিণ কোরিয়া শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দরিদ্র দেশ থেকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

৩. মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা (করণীয়):

* নাগরিক অধিকার রক্ষা:
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, এবং নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।
* গণমাধ্যমের স্বাধীনতা:
সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
* গণতান্ত্রিক নির্বাচন:
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন।

উদাহরণ: কানাডা-তে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের অবাধ কার্যক্রম নিশ্চিত করা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করেছে।

৪. শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার (করণীয়):

* শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার:
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জাতীয় বাজেটের বড় অংশ বরাদ্দ করতে হবে।
* কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষম করতে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
* গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ: সরকারি ও বেসরকারি খাতে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা।

উদাহরণ: ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বে সেরা, কারণ তারা শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় এবং শিক্ষকদের মানোন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করে।

৫. পরিবেশ সুরক্ষা (করণীয়):

* টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা:
শিল্পায়ন ও নগরায়নের সময় পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
* বনভূমি রক্ষা:
বনভূমি সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
* পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি:
সৌর এবং জৈব শক্তির ব্যবহার বাড়ানো।

উদাহরণ: নরওয়ে তার পরিবেশবান্ধব নীতি এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশবান্ধব রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত।

৬. নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা (করণীয়):

* লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠা:
কর্মক্ষেত্র এবং সমাজে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ।
* সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা:
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন।

উদাহরণ: আইসল্যান্ড লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

৭. প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা (করণীয়):

* ই-গভর্নেন্স:
সরকারি সেবাগুলোকে ডিজিটালাইজ করে জনগণের কাছে সহজলভ্য করা।
* তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন:
আইটি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে প্রশিক্ষণ।

উদাহরণ: এস্তোনিয়া তার ডিজিটাল সেবার জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে জনগণ দ্রুত ও কার্যকরী সেবা পায়।

একটি আন্তর্জাতিক মানের রাষ্ট্র গড়ে তুলতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং এর ধারাবাহিক বাস্তবায়ন। সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, এবং প্রযুক্তির সমন্বিত প্রয়োগ একটি দেশের গুণগত পরিবর্তন আনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, সদিচ্ছা এবং সঠিক নীতির মাধ্যমে একটি দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

(খ) দ্বিতীয় অংশ:

“রাষ্ট্রের উন্নতি ও সুশাসনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও তত্ত্ব”

রাষ্ট্র নিয়ে অভিজ্ঞ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা রাষ্ট্রের কাঠামো, কার্যকারিতা, সুশাসন, এবং উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন তত্ত্ব ও পরামর্শ প্রদান করেছেন। নিচে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও তত্ত্ব দেওয়াআ হলো, যা রাষ্ট্রের উন্নতি ও সুশাসনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

১. জন লকের “সমাজ চুক্তি তত্ত্ব”

ক. মূল ধারণা: জন লক (John Locke) রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে মানুষের মৌলিক অধিকার (জীবন, স্বাধীনতা, এবং সম্পত্তি) রক্ষার কথা বলেছেন।
খ. রাষ্ট্র নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হলে তাদের পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে।
গ. তিনি জনগণের ক্ষমতাকে রাষ্ট্রের শক্তির উৎস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ব্যাখ্যা: বর্তমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে লকের এই ধারণা খুবই প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশে যদি রাষ্ট্র নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের মতামত এবং অংশগ্রহণ জরুরি।

২. ম্যাক্স ওয়েবারের “বৈধ আধিপত্য তত্ত্ব”

* মূল ধারণা: ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) বলেছেন, একটি রাষ্ট্রকে বৈধভাবে কার্যকর হতে হলে তিনটি ধরনের বৈধতা থাকতে হয়:
* আইনী বৈধতা: আইন দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।
* ঐতিহ্যগত বৈধতা: জনগণের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
* ক্যারিশম্যাটিক বৈধতা: নেতাদের প্রতি জনগণের আস্থা থাকতে হবে।

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে আইনী বৈধতা ব্যাহত হয়। এ ক্ষেত্রে ওয়েবারের তত্ত্ব অনুসারে, একটি কার্যকর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৩. অ্যারিস্টটলের “ভালো শাসন বনাম খারাপ শাসন”

* মূল ধারণা: অ্যারিস্টটল (Aristotle) শাসনের ধরনগুলোকে ভালো (গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র) এবং খারাপ (স্বৈরাচার, ওলিগার্কি, জনতন্ত্র) হিসেবে ভাগ করেছেন।
* ভালো শাসন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।
* খারাপ শাসন শাসকদের ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করে।

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থায় যদি ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে অ্যারিস্টটল এটিকে “খারাপ শাসন” হিসেবে অভিহিত করবেন। এজন্য শাসনব্যবস্থায় জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. অমর্ত্য সেনের “উন্নয়ন মানে স্বাধীনতা”

* মূল ধারণা: অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) বলেছেন, উন্নয়ন কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, এটি মানুষের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচার উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ।
ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। অ্যা অ্যামার্ত্য সেনের তত্ত্ব অনুসারে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরস্পর-নির্ভরশীল।

৫. থমাস হবসের “শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রয়োজন”

* মূল ধারণা: থমাস হবস (Thomas Hobbes) মনে করেন, অরাজকতা এড়াতে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী হতে হবে। তবে, শক্তিশালী রাষ্ট্র অবশ্যই ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন মেনে চলবে। জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য হবসের তত্ত্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তিশালী এবং কার্যকর প্রশাসন গঠন জরুরি।

৬. রাউল ডাহলের “গণতান্ত্রিক প্লুরালিজম”

* মূল ধারণা: রাউল ডাহল (Robert Dahl) বলেন, একটি সফল রাষ্ট্রে বিভিন্ন শ্রেণি, গোষ্ঠী, এবং মতামত অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী, এবং নাগরিক সমাজের ভূমিকা থাকা উচিত। গণতন্ত্র কেবল নির্বাচন নয়, এটি অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা।

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রকৃত সফলতার জন্য সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৭. নিকোলো ম্যাকিয়াভেলির “ক্ষমতা ও শাসননীতি”

* মূল ধারণা: ম্যাকিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli) মনে করেন, শাসকদের কার্যকারিতা প্রাধান্য দেওয়া উচিত, নৈতিকতার চেয়ে। তবে এটি হতে হবে জনকল্যাণমূলক।

ব্যাখ্যা: বাংলাদেশে কোনো সরকার যদি কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নাগরিক সেবা ও শাসনব্যবস্থা কার্যকর করে, তবে ম্যাকিয়াভেলির তত্ত্ব সার্থক হবে।

উদাহরণ:
* সিঙ্গাপুর: লি কুয়ান ইউ-এর নেতৃত্বে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরকে আন্তর্জাতিক মানের রাষ্ট্রে রূপান্তর করা হয়েছে।
* দক্ষিণ কোরিয়া: গণতন্ত্র এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে তারা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে।
* নরওয়ে: মানবাধিকার রক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব নীতির মাধ্যমে বিশ্বে অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র।

উপসংহার: রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা মনে করেন, একটি সফল রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি সুশাসন, নাগরিকদের অধিকার রক্ষা, এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষিত নেতৃত্ব, গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ, এবং নাগরিকদের সঙ্গে সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
-লেখক: মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিশ্বাস।

*Ref (Books):
১. জন লক (John Locke) – Two Treatises of Government (1689)
২. ম্যাক্স ওয়েবার (Max Weber) – Economy and Society (1922)
৩. অ্যারিস্টটল (Aristotle) – Politics (4th century BC)
৪. অ্যামার্ত্য সেন (Amartya Sen) – Development as Freedom (1999)
৫. থমাস হবস (Thomas Hobbes) – Leviathan (1651)
৬. রাউল ডাহল (Robert Dahl) – Democracy and Its Critics (1989)
৭. নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি (Niccolò Machiavelli) – The Prince (1532)
৮. লি কুয়ান ইউ (Lee Kuan Yew) – The Singapore Story (1998)
৯. পার্ক চুং-হি (Park Chung-hee) – Park Chung Hee’s Leadership and the Making of Modern Korea
১০. পিটার ড্রাকার (Peter Drucker) – The Effective Executive (1966)
১১. ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা (Francis Fukuyama) – The End of History and the Last Man (1992)
১২. জোসেফ স্টিগ্লিটজ (Joseph Stiglitz) – Globalization and Its Discontents (2002)
১৩. দেভিড হ্যারিসন (David Harrison) – Why Nations Fail (2012).

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest