নিউজ ডেস্ক, ঢাকা: শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে দুমড়েমুচড়ে যায় বেপারী পরিবহনের একটি বাস। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের চার জন ও মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা যান।
এই ধরণের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের সমন্বয় প্রয়োজন। এ বিষয়ে কিছু প্রতিকার ও সুপারিশ করছি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, যদিও কর্তৃপক্ষের (রাষ্ট্রীয়) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত।
প্রতিকার ও সুপারিশ:
১. বাস চালকদের প্রশিক্ষণ: বাস চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাদের লাইসেন্স যাচাই করতে হবে।
২. টোল প্লাজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা: টোল প্লাজার আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং সুরক্ষার জন্য আলাদা লেন তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. গতি নিয়ন্ত্রণ: টোল প্লাজার কাছাকাছি এলাকা থেকে সব ধরণের যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. আইন প্রয়োগ: দুর্ঘটনার সাথে জড়িত চালক এবং পরিবহন মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. সচেতনতা কর্মসূচি: জনগণের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত প্রচারণা চালাতে হবে।
৬. জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা: টোল প্লাজায় দ্রুত চিকিৎসা সরবরাহের জন্য অ্যাম্বুলেন্স এবং ফার্স্ট এইড কেন্দ্র থাকতে হবে, যাতে আহতদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দেওয়া যায়।
৭. যান্ত্রিক ত্রুটি পর্যালোচনা: দুর্ঘটনার কারণ যদি বাসের যান্ত্রিক ত্রুটি হয়, তবে প্রতিটি যানবাহনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
৮. কঠোর পরিবহন নীতিমালা: গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের প্রতি কঠোর নীতিমালা প্রয়োগ করতে হবে, যাতে তারা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ না করে।
৯. টোল প্লাজার নকশা উন্নয়ন: টোল প্লাজার নকশা এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যাতে গাড়িগুলি নিরাপদে দাঁড়াতে পারে এবং পিছন থেকে আঘাতের ঝুঁকি কমে।
১০. দুর্ঘটনা পরবর্তী সুরক্ষা তহবিল: এই ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে একটি সুরক্ষা তহবিল গঠন করা উচিত, যা তাদের আর্থিক ও মানসিক সহায়তা প্রদান করবে।
১১. সচেতনতামূলক প্রচারণা: “নিরাপদ সড়ক চাই” এর মতো সামাজিক আন্দোলন ও প্রচারণার মাধ্যমে চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে নিরাপদ সড়ক ব্যবহার নিয়ে আরও সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
১২. দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ: এ ধরনের দুর্ঘটনায় জড়িত চালক ও সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে অন্যদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়।
এ সব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। টোল প্লাজার দুর্ঘটনার মতো ঘটনা বিশ্বজুড়ে সাধারণ, এবং এর পেছনে মূলত মানুষের অসচেতনতা, অবহেলা এবং নিরাপত্তার অভাব কাজ করে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে নিচের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে:
১. উন্নত দেশগুলোর উদ্যোগ:
উন্নত দেশগুলোতে (যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ) সড়ক নিরাপত্তায় অত্যন্ত কঠোর আইন এবং প্রযুক্তি-নির্ভর সমাধান রয়েছে।
গতি নিয়ন্ত্রণ: টোল প্লাজার কাছে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্বয়ংক্রিয় স্পিড
Leave a Reply