যদিও মাত্র নয় মাসে ঝরে গেছে তিরিশ লক্ষ প্রাণ।
বাঙালি পেয়েছে নয়া মানচিত্রের সীমা পতাকার গান।
তুমিই তো বলেছিলে জীবনের থেকে বেশি ‘বাংলা ও বাঙালিকে বড় ভালোবাসি’–
তোমার প্রতীক্ষায় প্রিয় দেশবাসী–
যোদ্ধারা ফিরে এলো কেউ কেউ, অনেকেই আসে নাই ফিরে,
ভালোবেসে এই দেশটিরে।
প্রিয়মুখ খুঁজে ফেরে স্বজনেরা, লাশের গন্ধ আর শোকের মাতম ওঠা বধ্যভূমি ঘিরে…
তুমি তো বন্দি ছিলে পশ্চিমে, ভয়াল পাকিস্তানে মৃত্যু-কারাগারে
মৃত্যুর পদধ্বনি শুনছিলে প্রতিদিন কড়া নেড়েছিলো দূত জানি বারে বারে
তোমার কবরও খোঁড়া হয়েছিলো, ইয়াহিয়া-ভুট্টোর যৌথ প্রযোজনা
দেশ তো স্বাধীন হলো, কিন্তু সে নেতা কই? বিশ্বব্যাপি দীপ্ত আলোচনা…
ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী
কঠিনে কোমলে গড়া তীব্র স্রোতস্বিনী
বাংলা ও বাঙালির বন্ধু পরীক্ষিত, কোটি বাঙালির ঋণ তাঁর কাছে জমা।
সাতকোটি বাঙালির প্রিয় প্রিয়তমা
অবশেষে নিঝুম অন্ধকার মৃত্যু গহবর–ভয়াল কবর থেকে মুক্ত করে আনে।
হিংস্র সে হায়েনারা পরাভব মানে।
আহারে স্বাধীন দেশ আহা স্বাধীনতা
কেবলই ধ্বনিত হয় শেখ মুজিবের নাম আর তাঁর কথা।
স্বজন হারিয়ে কাঁদে স্বাধীনতা পেয়ে কাঁদে দেশ-জনগণ
কখন আসবে নেতা? কখন? কখন?
সেদিন–
আকাশ ছিলো অপেক্ষমাণ তোমার প্রতীক্ষায়
বৃক্ষ ছিলো বাতাস ছিলো তোমার প্রতীক্ষায়
পাহাড় নদী সাগর ছিলো তোমার প্রতীক্ষায়
ফুল পাখি মেঘ মাঠের ফসল তোমার প্রতীক্ষায়
কৃষক শ্রমিক মজুর মুটে তোমার প্রতীক্ষায়
শহিদ ছেলের মা জননী তোমার প্রতীক্ষায়
লাঞ্ছিত মা লাঞ্ছিত বোন তোমার প্রতীক্ষায়
মুক্ত তোমার মাতৃভূমি তোমার প্রতীক্ষায়
রক্তস্নাত পতাকা এক তোমার প্রতীক্ষায়…
তুমি এলে অবশেষে, সাতকোটি বাঙালির সাথে অমর শহিদ তিরিশ লক্ষ প্রাণ–
তোমার কণ্ঠে সুর মিলিয়ে গাইলো সেদিন চোখের জলে স্বাধীনতার গান…
[ picture source : internet ]
Leave a Reply