1. editor1@japanbanglapress.com : editor1 :
  2. japanbanglapress@japanbanglapress.com : japanbanglapress :
  3. mdzahidulislam1000@gmail.com : zahid :
সাম্প্রতিক :
আজ বিকালে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া মব জাস্টিসের নামে মগের মুল্লুক কায়েমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন-সাইফুর রহমান কায়েস শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশার গোপন নথি ফাঁস শেখ হাসিনার সরকার হটাতে মার্কিন নীলনকশা ‘কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকতে চাই না’ “মানুষ ও সময়: শক্তি, সংগ্রাম এবং সহজতার দ্বন্দ্ব”-মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বিশ্বাস। চার দফা দাবিতে শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগার ধানমন্ডি-৩২ ধ্বংসের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের আহবান স্টামফোর্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফারাহনাজ ফিরোজ

রক্ত ঝরছে, কেউ দেখছে না-ফকির ইলিয়াস

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

আমার একটা কবিতা আছে, ‘জল পড়বে পাতা নড়বে না’।

জানতাম- ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’। সেই সত্য আজ নির্বাসিত। অনেক কিছুই ঘটে যাচ্ছে। কেউ দেখছে না। অথবা দেখার চেষ্টা করছে না। অথবা দেখেও নীরব থাকছে ! ড: ইউনুসের সরকার ম্যাটিকিউলিয়াস ডিজাইন প্ল্যানে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে আজ পাঁচ মাসেরও বেশি সময়। তাদের কথা অনুযায়ী তারা ‘ফ্যাসিবাদি সরকার’ কে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন! কিন্তু এই পাঁচমাসের প্রাপ্তি কি ? জুলাই নিয়ে যারা বড় বড় কথা বলছিলেন, তারা প্রতিমাসে তাদের কথা পাল্টাচ্ছেন। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, সরকার জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করবে না।সরকার কোনো ঘোষণাপত্র দেবে না। তিনি বলেছেন, ঘোষণাপত্র আসবে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে। সব রাজনৈতিক পক্ষ, দল, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেটি হবে। সবার সম্মতিক্রমে ঘোষণাপত্র হলে সেটি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে। সুতরাং এই দুটি জিনিস (ঘোষণাপত্র কে দেবে) সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা সরকার নিজে বানাইয়া (তৈরি করে) কোনো প্রক্লেমেশন দিচ্ছি না। শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র প্রণীত হবে। আগামী সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা শুরু ও শেষ হয়ে যাবে। এই যে ‘সকল’ এরা কারা ?এই দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটা বড় সমর্থক আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। রয়েছে বিএনপি’র ও বড় ভোটব্যাংক ! তাদের উপেক্ষা করে দেশে একটি বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হবে ? তা কতটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে আগামী প্রজন্মের কাছে ? বর্তমান ইন্টের্ম সরকার যে চাপিয়ে দেয়ার বাহুশক্তি দেখাচ্ছে- তা কি দেশের মানুষ বুঝতে পারছেন না ? কী মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা ? পাঠ্যপুস্তুকে অত্যান্ত পরিকল্পিতভাবে যা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে- তা কী বিশ্বের পাঠ-আদলে চলনসই ? এসব লেখক কি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রতিনিধিত্ব করেন ? কী ভাবছে প্রজন্ম এই বিষয়ে ? জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা কত ? এটা নিয়ে একেক সময় আকেক কথা বলছেন নিয়োগকর্তারা । ‘হাজার হাজার’ বলতে কি বুঝায়- তা বালক-বালিকারাও জানেন। তাহলে এই আইওয়াশ কতটা এগিয়ে নেয়া যাবে ? কোটা এবং তারপর সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডকে ‘জুলাই গণহত্যা’ বলা হচ্ছিল। আর এই সময়ে অন্তত ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৩২ শিশুসহ ৬৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।জেনেভা থেকে প্রকাশিত ১০ পাতার প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৪০০ জন এবং ৫ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে আরও ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শান্তি পুনরুদ্ধারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ২১টি পরামর্শ দিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক, ও রাজনৈতিক অভিযোগের সমাধানে উন্মুক্ত সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ, যার লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের সকল মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিহতের সংখ্যা নিয়ে আর কি কোনো আপডেট আছে ? না নেই। এখন যেটা হচ্ছে- তা হলো গলাবাজি। গলায় জোর দিয়ে বলা হচ্ছে ‘হাজার- ‘হাজার’ ! এভাবে তো সত্য লুকিয়ে রাখা যায় না। এই সরকারের শুরুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ( অবঃ ) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি সেই সময় বলেছিলেন ৭ ৬২ রাইফেল ব্যবহার করে প্রচুর লোক মারা হয়েছে! এটা নিহতদের শরীরে সনাক্ত করা গেছে ! এর পরেই তাকে বদলি করে দেয়া হয়। তিনি এখন অনেকটাই চুপচাপ তাঁর দায়িত্বে আছেন।বাংলাদেশে এই সময়ে জুলাই-আগস্টের নিহত ইস্যু নিয়ে অনেক কথাই বলা হচ্ছে। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরে যেসব খুন-খারাবি হয়েছে, তা নিয়ে কোনো কথা নেই। এসবের কনো মামলা নেই। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশে যে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চলছে না- তা কিন্তু নয়। চলছে। গোপনে এরা বিভিন্নভাবেই সংগঠিত হচ্ছেন। তা সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেই বুঝা যায়। সবচেয়ে শংকার কথা হচ্ছে, আদালতে আওয়ামী লীগের গ্রেফতারকৃত নেতাদের পক্ষে কোমো আইনজীবি দাঁড়ালেই, তাকে নাজেহাল করা হচ্ছে! অথবা তাকে কথাই বলতে দেয়া হচ্ছে না। এতে যে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে- তা চাউর হচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার দৃষ্টিতে। এটা খুবই এলার্মিং ইস্যু। নোটেবল হয়ে থাকছে বিদেশের বিভিন্ন দফতরে। এই সরকার বৈষম্য বিরোধের কথা বলে ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস বলে- গত পাঁচমাসের মতো এতো দুর্বিসহ কাল, বাংলাদেশ কখনও দেখে নি । মহান একাত্তর থেকে আজ পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে কালো অধ্যায় হচ্ছে গত পাঁচ মাস। এই সরকার কবে নির্বাচন দেবে ? এরা কি চাইছে রাজনীতি থেকে বিএনপিকেও মাইনাস করতে ? এসব প্রশ্নও আসছে। একটি কথা বলে রাখি, শেষ পর্যন্ত বিএনপির সাথে মোর্চা করেই জামায়াতকে ইলেকশন করতে হতে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Japan Bangla Press © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest