নুরুল আমিন
আমাদের বন্ধু হারুনর রশীদ মুন্না সদা হাস্যোজ্জল একজন ব্যক্তি। প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনীতিবিদ বলতে আমাদের চোখের সামনে যেরকম প্রতিকৃতি ভেসে ওঠে হারুন ঠিক তার বিপরীত। তার সারল্য আর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে যে কেউ মুগ্ধ হয়। ছাত্রজীবন থেকেই সে রাজনীতির সাথে যুক্ত। মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধু ভক্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ় অবিচল।
রাজনৈতিকচর্চার শুরুটা মুন্সীগঞ্জে হলেও ক্রমান্বয়ে হারুন হয়ে উঠেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের বলিষ্ঠ নেতা। জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কর্মী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে লড়ছে সে।
ছোটবেলা থেকেই ক্লাসের দুষ্ট ছেলেটিই ছিল হারুন, ওর দুষ্টুমির দরুণ কেউ গোমড়া মুখ করে বসে থাকতে পারতো না। হাসি ঠাট্টা আর দুষ্টুমিতে ক্লাসটাকে মাতিয়ে রাখতো সারাক্ষণ, চাঞ্চল্যতা ছিল ওর চরিত্রের প্রথম বৈশিষ্ট্য। আবার বন্ধুদের কারও সাথে কোন ঝুটঝামেলা হলেই সবার আগে দৌড়ে যেত তা সমাধান করতে। আমাদের ইংরেজি শিক্ষক শরীফ স্যারের হাতের বেতটা ওঁর দিকেই তাকিয়ে থাকত বেশি। বেচারা আতঙ্কে থাকতো কখন ক্লাসের ঘন্টাটা বাজবে আর হাফ ছেড়ে বাঁচবে। একটা ডানপিঠে স্বভাব ছিল ওঁর, অযৌক্তিক কোন কিছু ওঁর উপর কেউ চাপিয়ে দিতে পারতো না। ক্ষ্যাপাটে প্রতিবাদে ছিল অনড়। যাই হোক এরপর পড়ালেখা শেষে কর্মজীবনেও রাজনীতিতে সরব থেকেছে আমাদের আজকের হারুনর রশীদ মুন্না। দিনে দিনে হয়ে উঠেছে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী একজন জননেতা। ঢাকা -৫ নির্বাচনি এলাকার গণমানুষের নেতা, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো যার ডাকে লাখো মানুষ একত্রিত হয়ে যায় মুহূর্তেই। ডেমড়া-যাত্রবাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষের খুব কাছের মানুষটির নাম হারুনর রশীদ মুন্না। অঞ্চলটির সাধারণ মানুষের অন্তরে স্থায়ী একটা জায়গা করে নিতে পেরেছে তাই তার ডাকে সাড়া দেয় প্রবলভাবে। পরিশেষে বলব ঢাকা-৫ এর সর্বস্তরের জনগনের আস্থার প্রতীক হারুনর রশীদ মুন্না। আসুন আমরা সবাই মিলে তাকে বিজয়ীর আসনে বসাই।
লেখক : ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এসএডিসিএস, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি-জাপান বাংলা প্রেস ডট কম
Leave a Reply