জাপানে ভূমিকম্প শুরু হলে রাস্তায় আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক, টোকিও
নতুন বছরের প্রথম দিন জাপানের মধ্যাঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ৩০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং রাস্তাঘাটে বড় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। ভূমিকম্পের কারণে প্রথমে বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে এর মাত্রা কমানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকেলে জাপান সাগরের উপকূলীয় নতো অঞ্চলের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে প্রথমে ১৫ ফুট উঁচু সুনামির আশঙ্কার কথা বলে উপকূলবর্তী অঞ্চলের লোকজনকে উঁচু স্থানে সরে যেতে বলা হয়।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মধ্য জাপানে ৩.৪ থেকে ৭.৬ মাত্রার রেকর্ডসংখ্যক অন্তত ৫০টি কম্পন অনুভূত হয়। সামনে আরো ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল আবহাওয়া বিভাগ।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জাপান খুবই ভূমিকম্পপ্রবণ। সেখানে ছোট ভূমিকম্প প্রায় নৈমিত্তিক ব্যাপার।
সুনামির প্রাথমিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, কোথাও কোথাও ১৬ ফুট উঁচু ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। এর কিছু সময় পর ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকা বিশেষ করে ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোইয়ামা প্রিফেকচারে ‘বড় সুনামি সতর্কতা’ সরিয়ে ‘সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়।
এর মানে তখনো প্রায় ১০ ফুট উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কা ছিল। ২০১১ সালের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের বছরের পর থেকে বড় সুনামি সতর্কতা ছিল এটাই প্রথম। আর নতো অঞ্চলে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।
সরকারের মুখপাত্র ইয়োসিমাশা হায়াশি বলেছেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে অন্তত ছয়জনের আটকে পড়ার খবর মিলেছে। এ ছাড়া ইশিকাওয়া এলাকায় একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভূমিকম্পের জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকার বুলেট ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো অস্বাভাবিকতার খবর পায়নি দেশটির পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply