নিজস্ব প্রতিবেদক, জাপান
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাপান শাখার উদ্যোগে বিজয়োত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তব্য দিচ্ছেন সভাপতি সালেহ মোহাম্মদ আরিফ।
গত ২০ জানুয়ারি শনিবার সাইতামার বঙ্গকারী হাউসে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি বাদল চাকলাদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ মোল্লা, সহ-সভাপতি জাকির জোয়ারদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল হাসান লিপু, প্রচার সম্পাদক নাজমুল হোসেন রতন ও দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গত তিন মেয়াদের সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বারবার শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে দরকার বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, ‘আজ দিকে দিকে শোণিত হচ্ছে শেখ হাসিনার অর্জন গণপরিবহনে মেট্রোরেল সংযোজন। শেখ হাসিনার অবদান, বাংলাদেশে মেট্রোরেল দৃশ্যমান। এদেশের মানুষের হাজার বছরের আরাধ্য স্বাধীনতা এসেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। যতদিন এ বাংলায় চন্দ্র সূর্য উদয় হবে, পাখিরা গান গাইবে, সমুদ্রে গর্জন হবে ততদিন মুজিব নামটি থাকবে। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নতবিশ্বের কাতারে পা রাখছে’
বক্তব্য দিচ্ছেন সিনিয়র সহ সভাপতি বাদল চাকলাদার।
‘যেদিন দিয়াবাড়িতে ২০১৪ সালের জুনের ১১তারিখে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিল মেট্রোরেল ডিপো ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে। সেদিন ছিলো তুমুল বর্ষণ, ঝড় মঞ্চ ভেঙ্গে গিয়েছিলো, প্যান্ডেল উড়ে গিয়েছিলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথিদের দাঁড়াবার জায়গা ছিলো না। সেই অবস্থায় কাক ভেজা হয়ে এখানে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন অতিথিরা। দেশের উন্নয়নে যাদের গা জ্বালা করে তারা সেই ভাঙ্গা মঞ্চ আর কাকভেজা জাতীয় নেতাদের ছবি দেখিয়ে উপহাস করেছিলো। সময়ের ব্যবধানে আজ সেই মেট্রোরেল কোনো স্বপ্ন নয়, মেট্রোরেল আজ দৃশ্যমান’—যোগ করেন বক্তারা।
বক্তব্য দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ মোল্লা
বক্তারা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছে। শত সেতু এক দিনে উদ্বোধন, এমন দৃষ্টান্ত গুগলেও নেই, শত রাস্তা একদিনে নতুন। মেট্রোরেল ঢাকায় প্রথম, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রথম, সামনের বছর ঢাকায় এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-গাজীপুর র্যাপিড ট্রেন প্রথম আগামী বছর আপনিই করবেন আমরা আশা করে আছি। এত বড় বিশ্বকাপ হয়ে গেল, কোথাও একটু লোডশেডিং হয়নি।’
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, ইয়েস উই ক্যান। বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, আমরা বীরের জাতি, চোরের জাতি নয়। আমরা কেন পারব না। মনে অনেকের জ্বালা। অন্তর জ্বালায় মরে। বড়ই অন্তর জ্বালা। অন্তর জালা কেন শেখ হাসিনা জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু করেছে। এখন সমাবেশ করার জন্য এই জোড়াতালি দেওয়া পদ্মা সেতু দিয়ে সমাবেশ করার জন্য যাচ্ছেন কীভাবে? তিন ঘণ্টায় খুলনা চলে গেলেন। জীবনে পেরেছেন? বড় বড় কথা, বিষোদগার।
শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ ভালো আছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করে ফেললো, মেট্রোরেল করে ফেলল, শত সেতু-রাস্তা, শতভাব বিদ্যুৎ, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলল, বিশ্বমন্দায় অনেক উন্নত দেশের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। তাই ওদের মনে জ্বালা, অন্তর জ্বালা।
অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বিজয় উৎসব পালন করা হয় এবং নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
Leave a Reply